ধূমকেতু রিপোর্ট : কিডনিজনিত রোগে আক্রান্তদের ডায়ালাইসিসের কষ্ট কমাতে স্টেম সেল পদ্ধতির প্রয়োগ শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। আধুনিক এই প্রক্রিয়ায় ডায়ালাইসিস নিতে থাকা রোগীর পর্যায়ক্রমে ডায়ালাইসিসের সংখ্যা কমে আসার প্রমাণও মিলেছে।
তবে কিডনি আক্রান্ত হবার শুরুতেই স্টেম সেল নিলে ভবিষ্যতে ডায়ালাইসিস নাও লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন স্টেম সেল বিশেষজ্ঞরা। এই পদ্ধতিকে স্বাগত জানালেও কোন কোন রোগীর ক্ষেত্রে তা অধিক কার্যকর সেটি জানতে আরো গবেষণার প্রয়োজন বলে মনে করেন কিডনি হাসপাতালের পরিচালক।
দীর্ঘ ৬ বছর ধরে কিডনি রোগে আক্রান্ত খালেদ। শেষ দেড় বছর সপ্তাহে ৩ বার ডায়ালাইসিস নিয়ে ক্লান্ত খালেদ কিডনি প্রতিস্থাপনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। অবশেষে আফতাবনগরের বিএলসিএস হাসপাতালে শরীরে স্টেম সেল নিয়ে বেশ স্বস্তি বোধ করছেন তিনি।
খালেদ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ইউরিন শরীরে জমা ছিলো পাস হলো। আমার শরীরের শক্তি আমি পেতাম না সেটা আমি ফিরে পাচ্ছি। আগে তিনটা ডায়ালাইসিস করতাম এখন দুইটা করি।’
চিকিৎসকরা বলছেন, যাদের ডায়ালাইসিস শুরু হয়নি তাদের শরীরে স্টেম সেলের কার্যকারিতা সবচেয়ে বেশী। তবে ডায়ালাইসিসে থাকা রোগীরা স্টেম সেল নেবার পর শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার পাশাপাশি বলছেন তাদের ডায়ালাইসিসের সংখ্যা কমে আসার কথা।
এক রোগীর স্বজন বলেন, ‘আমার স্ত্রীর সপ্তাহে দুইদিন ডায়ালাইসিস লাগতো। পরবর্তীতে সেটা তিনদিনের পর্যায়ে চলে গেছে। স্টেম সেল দেওয়ার পরে সপ্তাহে একদিন ডায়ালাইসিস করছি।’
স্টিম সেল দেওয়া এক রোগী বলেন, ‘এটা দেয়ার আগে কথা বলার শক্তিও ছিল না। এখন হাঁটা চলাফেরা খাওয়া করতে সমস্যা হচ্ছে না।