নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন,  ডিজিটাল বাংলাদেশে ডাকঘর ডিজিটাল করতেই হবে। তিনি বলেন, ডাক কর্মচারিদের একটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ন্যূনতম ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করতেই হবে। এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট  কর্তৃপক্ষকে কর্মচারি, কর্মকর্তাদের  প্রশিক্ষণ প্রদানসহ ডিজিটাল ডাকঘর বিনির্মাণে উদ্যোগ বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দেন মন্ত্রী। এ বিষয়ে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাসও ব্যক্ত করেন তিনি।

মন্ত্রী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় জিপিও মিলনায়তনে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ ডাক কর্মচারি  ইউনিয়ন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো: খলিলুর রহমান এবং ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: সিরাজ উদ্দিন বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ডাক কর্মচারি ইউনিয়নের সভাপতি মুসলেহ উদ্দিন হাওলাদার সভাপতিত্ব করেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের সবচেয়ে বড় অবদান হচ্ছে এই জনপদের জন্য তার মহান ত্যাগ।  তিনি ১৯৪৮ সালে বাংলা ভাষার আন্দোলন থেকে ধারাবাহিকভাবে লড়াই করে  ৭০‘র নির্বাচন এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অবদান তুলে ধরে বলেন, আমাদের একজন বঙ্গবন্ধু ছিলেন বলেই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।  তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতা ছিলো বলেই অনেকের বিরোধীতা ও ইয়াহিয়ার এলএফওর মধ্যেও সত্তুরের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফা জব্বার বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে আমরা খালি হাতে যুদ্ধ করেছি। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরের বাংলাদেশের অর্জন তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে দারিদ্রমুক্ত এবং ৩৬ সালের বাংলাদেশ হবে  বিশ্বের ২৪তম অর্থনৈতিক শক্তিশালী দেশ এবং ৪১ সালের বাংলাদেশ হবে উন্নত বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে  আজকের বাংলাদেশ বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তিনি বঙ্গবন্ধুর লড়াই এর সহযোগী হিসেবে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের অবদানের কথা স্মরণ করেন। তিনি বিশেষত ৬৯ এর আন্দোলনের সময় বঙ্গবন্ধুকে প্যারোলে মুক্তি না নেবার যে অনুরোধ করেন সেই স্মৃতি স্মরণ করেন। তিনি বঙ্গমাতার মতোই বাংলাদেশের মায়েরা যে অবিরাম ত্যাগ স্বীকার করেন তার কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে ডাক বিভাগের কর্মীদের অবদানের জন্য তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তার মতে ডাকঘর ডিজিটাল হলে দুর্ণীতি থাকবে না।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ  সচিব বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন অনন্য প্রতিভার অধিকারী, ক্রীড়াঙ্গণ থেকে রাজনীতি প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন অতুলনীয়।  তিনি শ্রম ও জ্ঞান দিয়ে এবং বিশাল ত্যাগের মহিমায় তিনি বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসের মহানায়ক হয়েছেন। এটি বঙ্গবন্ধু অর্জন। তিনি ডাক বিভাগের দুর্ণীতি নির্মূল করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশ অপ্রতিরুদ্ধ অগ্রগতি হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, আমাদের সময় হয়েছে ডিজিটাল ডাকঘর কর্মসূচি বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ ও  ডিজিটাল ডাকঘর কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ডাকঘরের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনা।

আরো পড়ুন:

ডিজিটাল ডেটা সোনার চেয়েও দামী : মোস্তাফা জব্বার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *