কৃষি-মৎস্য

ঠাকুরগাঁওয়ে আমন রোপণে ব্যস্ত কৃষক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: দেশের উত্তরের কৃষি নির্ভর জনপদ ঠাকুরগাঁও জেলা। বোরোর পর করোনার দুর্যোগেও আমন রোপণ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলার কৃষকেরা। সদর উপজেলা ও জেলার বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দেখা যায় কিছু স্থানে চারা গাছ তুলছেন তারা। আবার কিছু স্থানে গিয়ে দেখা যায় চারা রোপণ করতে শুরু করেছেন কৃষক। সবকিছু মিলিয়ে জেলার কৃষক ও কৃষিতে নিয়োজিত শ্রমিকেরা ব্যস্ত সময় পার করছেন আমন নিয়ে।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন, বেগুনবাড়ি, খোঁচাবাড়ি, দানারহাট, বরুনাগাঁও ও রানিশংকৈল, পীরগঞ্জ, হরিপুর উপজেলা সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় আমনের চারা উঠানো ও রোপণ করার দৃশ্য। এতে দল বেঁধে শ্রমিকেরা কোথাও আমনের চারা তুলছেন, আবার কোথায় চারা রোপণ করছেন। এদের মধ্যে নারী শ্রমিকদেরও কাজ করতে দেখা যায় বেশ কয়েক জায়গায়।

সদর উপজেলার নারগুন এলাকার কৃষক আলহাজ্ব মোমিনুল ইসলাম জানান, প্রত্যেক বছরের মত এ বছর তিনি ৩ একর (৩শ শতক) জমিতে আমন লাগানোর প্রস্তুতি নিয়েছেন। ইতিমধ্যে চারা রোপণের জন্য প্রস্তুত হয়েছে। যে কোন দিন চারা রোপণের জন্য শ্রমিক নিয়োগ করবেন বলেও জানান তিনি।

সদর উপজেলার শীবগঞ্জ এলাকার কৃষক মকছেদুল জানান, তিনি এ বছর আড়াই একর (২৫০ শতক) জমিতে আমন ধান লাগানোর প্রস্তুতি নিয়েছেন। ইতিমধ্যে বিভিন্ন এলাকা থেকে চারা জোগাড় করেছেন এবং তা রোপণ ও শুরু করেছেন। গত বছর শুরুর দিকে দাম কম পাওয়া গেলেও এ বছর ভাল দাম পাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাশেল ইসলাম জানান, এ বছর জেলায় ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন। ইতিমধ্যে কৃষকেরা চারা তুলে তা রোপণের কাজ শুরু করেছে জানিয়ে এ যাবত জেলায় মোট ২৬০ হেক্টির জমিতে চারা রোপণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবু হোসেন জানান, ঠাকুরগাঁও জেলা অন্যান্য ফসলের ন্যায় ধানের জন্যও বিখ্যাত। প্রচুর পরিমাণে ধান এ জেলায় উৎপাদন হয়। প্রত্যেক বছর আমন মৌসুমে কৃষকদের যাবতীয় পরামর্শ ও সেবা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে প্রদান করা হয়। এ বছরও দেওয়া হয়েছে। যদিও করোনা পরিস্থিতিতে বাজারের কিছুটা সমস্যা রয়েছে পরিস্থিতি একটু ভাল হয়ে লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত ধান উৎপাদন হবে এবং কৃষকেরা এ বছরও ধানের ন্যায্য মূল্য পাবেন বলে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *