উন্নয়ন

ট্রেনের গতি বাড়াতে ৫০৫টি সেতু নতুন করে নির্মাণের উদ্যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: পুরাতন সেতুর কারণে ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি ঘন্টায় ৭৫ কিলোমিটার। পরিস্থিতি বদলাতে ৫০৫টি পুরাতন সেতু নতুন করে নির্মাণের পরিকল্পনা করছে রেল বিভাগ। সেতুগুলো নির্মাণ হলে ট্রেনের গতি উন্নীত হবে ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটারে। বাড়বে বহন ক্ষমতাও।

পূর্বাঞ্চলের রেলপথে ২৮টি গুরুত্বপূর্ণ সেতু রয়েছে। এছাড়াও আছে ২৩৪টি বড় এবং ১ হাজার ৮২১টি ছোট সেতু। সেতুগুলোর ওপর দিয়ে ৭৫ কিলোমিটারের বেশি গতিতে ট্রেন চালানো যায় না। এ সমস্যা সমাধানে ৫০৫টি সেতু পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: নির্মিত হচ্ছে বিকল্প মেঘনা সেতু

বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. সবুক্তগীন বলেন, সবগুলো ব্রিজই আমরা পুনঃনির্মাণ করবো। এটা ২৫ টন এক্সেল লোডিং হিসেবেই আমরা করবো। তারপর জন্য আমরা ডিপিপি দিয়েছি, ডিপিপিটা মন্ত্রণালয়ে আছে।

সেতুগুলো পুনর্নির্মাণের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা। এ বিষয়ে একটি প্রকল্প প্রস্তাব শিগগিরই একনেকে যাচ্ছে, জানান রেল কর্মকর্তারা।

প্রকৌশলী সবুক্তগীন বলেন, গতি বাড়ানোর জন্য এবং যেসমস্ত জায়গায় গতির প্রতিবন্ধকতা আছে সেগুলো আমরা উঠিয়ে ফেলবো। নিরাপদ ট্রাক করার জন্য আমরা রেলওয়েরও একটি ডিপিপি দিয়েছি।

প্রস্তাবিত সেতুগুলো পুনর্নির্মিত হলে ট্রেনের গতি ৭৫ কিলোমিটার থেকে ১২০ কিলোমিটারে উন্নীত হবে। বাড়বে ট্রেনের বহন ক্ষমতাও।

পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আহসান জাবির বলেন, এই ব্রিজগুলো যদি আমরা পুনঃনির্মাণ সম্পন্ন করতে পারি তাহলে বর্তমান রেলের যে গতি আছে তা ৭৫ থেকে উন্নীত হয়ে প্রায় ১২০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচল করতে সক্ষম হবে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের যাত্রীবাহী বিরতিহীন ট্রেন এখন গন্তব্যে পৌঁছতে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা লাগছে। সেতুগুলো নির্মিত হলে সময় কমবে অন্তত দেড় ঘণ্টা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *