পর্যটন ও পরিবেশমাতৃভূমি

ট্যুরিস্ট পুলিশ দেশের পর্যটনকে এগিয়ে নিতে পারবে : পুলিশ সুপার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: ট্যুরিস্ট পুলিশের সুবাদে মানুষের মধ্যে নিরাপত্তার অনুভূতি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, ‘সৈকতে রাত কাটাতেও পর্যটকদের মধ্যে ভীতি কাজ করে না। তাদের মধ্যে একটা অনুভূতি এসেছে যে, তারা এখানে নিরাপদ এবং চারপাশে কোনও সমস্যা নেই।’

মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) রাতে কক্সবাজারে ট্যুরিস্ট পুলিশ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

কক্সবাজার অঞ্চলের এসপি’র দাবি, ‘করোনা সংকট কমায় স্থানীয় পর্যটক সমাগম বেড়েছে। আমার বিশ্বাস, ট্যুরিস্ট পুলিশ দেশের পর্যটনকে এগিয়ে নিতে পারবে।’

জিল্লুর রহমানের আশা, ‘কক্সবাজারে বিশ্বের বৃহত্তম সৈকতের ব্যাপারটা যদি ছড়িয়ে দেওয়া যায় এবং অন্যান্য দেশের মতো সুবিধা দিতে পারি তাহলে অবশ্যই এখানে বিদেশি পর্যটক আসবে।’

তবে ট্যুরিস্ট পুলিশের এই কর্মকর্তা স্বীকার করেন, ‘আমাদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কক্সবাজারে ট্যুরিস্ট পুলিশের জনবল ২১৩ জন। এটি খুব বেশি না হলেও কম নয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আমরাও ডিজিটালাইজেশনের দিকে এগোবো।’

ট্যুরিস্ট পুলিশে নবাগত কর্মী নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা দেখেন এসপি মো. জিল্লুর রহমান, ‘কেউ পুলিশ সদস্য নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার পর প্রথমেই ট্যুরিস্ট পুলিশে পদায়ন করে প্রশিক্ষণ দিলে সুফল পাওয়া যাবে। কারণ থানা পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা নিয়ে কাজ করে। খুন ও হামলার মতো বিষয় নিয়ে যারা কাজ করে তাদের কাছে কাউকে উত্ত্যক্ত করা কিংবা কারও অনুমতি ছাড়া ছবি তোলার বিষয়গুলো গুরুতর মনে হয় না। রাতে কাউকে ঘরের বাইরে দেখলে থানা পুলিশ সন্দেহ করে। কিন্তু পর্যটনের জন্য এসব বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে সামান্য ঘটনায়ও বিরূপ প্রভাব পড়ে। থানা পুলিশ থেকে যারা ট্যুরিস্ট পুলিশে আসেন তাদের চিন্তাভাবনা ভিন্ন থাকার প্রভাব পড়ে। এক্ষেত্রে আচরণগত কিছু সমস্যা দেখা দেয়। আমার চাওয়া, রাত তিনটায়ও কাউকে সৈকতে ঘুরতে দেখলে ট্যুরিস্ট পুলিশ তার কাছে গিয়ে বলবে– ‘যতক্ষণ ইচ্ছে উপভোগ করুন। আমরা আছি, যেকোনও প্রয়োজনে সহায়তা করবো।’

পুলিশ সুপার উল্লেখ করেন, ‘আমাদের হ্যালো ট্যুরিস্ট নামে একটি অ্যাপ আছে। এটি দিয়ে পর্যটকদের অবস্থান জানার চেষ্টা করছি। তাদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে অ্যাপের মাধ্যমে সহায়তা করা হবে। তবে এটি আরও উন্নত করার চেষ্টা চলছে।’

মতবিনিময় সভায় আরও ছিলেন কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মহিউদ্দিন এবং ইউএস বাংলা এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম।

আরো পড়ুন:

চালু হচ্ছে ঢাকা-কলম্বো ক্রুজ সার্ভিস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *