ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু ডটকম: ট্যাংকারে হামলা চালিয়ে ক্রু হত্যার ঘটনায় ইরানের ওপর চাপ বাড়ছে। শীর্ষ ধনী সাত দেশের জোট জি–৭–এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বলেছেন, যেসব তথ্য–প্রমাণ পাওয়া গেছে, তাতে এটা স্পষ্ট যে ট্যাংকারে হামলার পেছনে রয়েছে ইরান। খবর এএফপির।
এর আগে গত ২৯ জুলাই যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক জোডিয়াক মেরিটাইমের এমভি মার্সার স্ট্রিট নামের তেলের ট্যাংকারে ড্রোন হামলা চালানো হয়। এই প্রতিষ্ঠানের মালিক ইসরায়েলের ধনকুবের ইয়াল ওফার। ট্যাংকারটি লাইবেরিয়ার পতাকা বহন করছিল। তবে ট্যাংকারটি জাপানের। ওই ড্রোন হামলায় ট্যাংকারে থাকা দুই ক্রু নিহত হন। তাঁদের একজন যুক্তরাজ্যের এবং অপরজন রোমানিয়ার নাগরিক।
এই হামলার পর থেকে ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য অভিযোগ আনে। এতে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে ইরানের উত্তেজনা আরেক দফা বেড়ে যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে লন্ডন ও তেহরান একে অপরের কূটনীতিককে ডেকে পাঠায়।
শুক্রবার জি-৭-এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বলেছেন, এটি একটি বেপরোয়া ও পরিকল্পিত হামলা। এর মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে। ওই সাত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে এসব নৌযান মুক্তভাবে চলতে দিতে হবে। এ ছাড়া এসব নৌযানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাঁরা।
জি-৭-ভুক্ত দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বলেন, ইরান বিভিন্ন ছায়াশক্তিতে সাহায্য করছে। এ ছাড়া বিভিন্ন সন্ত্রাসীদের সমর্থন করছে। এর ফলে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন তাঁরা। এ ছাড়া ইসরায়েলও এই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেছে।
তবে ইরান বরাবরই এই হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। যদিও ইরানের বিরুদ্ধে আরেকটি তেলের ট্যাংকার অপহরণের অভিযোগ উঠেছে।
ইরানের বিরুদ্ধে এমন সময়ে চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, যখন পরমাণু চুক্তি আলোচনা শুরু করতে আহ্বান জানাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া পারমাণবিক চুক্তিতে থাকা অন্য দেশগুলোও ইরানকে চুক্তি ফেরাতে কাজ করছে। তবে ইরান তার অবস্থান স্পষ্ট করেছে। দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি সম্প্রতি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের একগুঁয়েমি মেনে নেবে না তারা। একই ধরনের কথা বলেছেন ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তিনিও বলেছেন, চাপের কাছে মাথা নত করবে না তারা।