খেলাধুলা

টেস্টে ফিরেই সেঞ্চুরি মাহমুদউল্লাহর

ক্রীড়া প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে টেস্ট ক্যারিয়ারের ৫ম সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। হাফসেঞ্চুরি করেছেন তাসকিন আহমেদ। আজ বৃহস্পতিবার এ প্রতিবেদন লেখার সময় ১০৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ৪০১। মাহমুদউল্লাহ ১০৯ এবং তাসকিন ৫২ রানে অপরাজিত। ম্যাচের প্রথম দিন ৮৩ ওভারে ৮ উইকেটে ২৯৪ রান করেছিল বাংলাদেশ।

দুজনই পেসার, তবে এ ক্ষেত্রে তাসকিন আহমেদ ব্লেসিং মুজারাবানিকে ‘হতাশ’ করলেন ব্যাটিংয়ে। ৮৬তম ওভার মুজারাবানির অফস্টাম্পের বাইরের বলটা ছেড়ে দিয়ে একটু নেচেই নিলেন তাসকিন। হাবভাব এমন যে, যা  কিছুই করো, আউট করতে পারবে না। মুজারাবানি সেটা সহজভাবে নিতে পারলেন না, এগিয়ে গেলেন। এগিয়ে এলেন তাসকিনও। খানিক বাদে তাসকিনের হেলমেটের গ্রিলে মুখ লাগিয়ে তাসকিনের সঙ্গে তর্কে মাতলেন মুজারাবানি। তাসকিনও ছেড়ে কথা বললেন না।

 হারারে টেস্টের দ্বিতীয় দিন সকালে উত্তাপের এই শেষ নয়।

৮৮তম ওভারে বোলিং করতে এসেছিলেন ভিক্টোর নিয়াউচি। তবে নিয়াউচি ডেলিভারিটা সম্পন্ন করার আগেই সরে গেলেন মাহমুদউল্লাহ, প্রস্তুত ছিলেন না বলে। নিয়াউচিও সেটি সহজভাবে নেননি, ডেলিভারি না করলেও বলটা ছুড়ে মেরেছিলেন। পরেরবার নিয়াউচি ডেলিভারি-স্ট্রাইডে গেলেন ঠিকই, তবে এবার তিনি ডেলিভারিটা করলেন না। এবার উত্তপ্ত হয়ে উঠলেন মাহমুদউল্লাহ। তিনি হাঁটা দিলেন বোলারের পেছন পেছন, আঙুল তুলে কিছু একটা বলছিলেনও তাকে। শেষে আম্পায়ার মারাই এরাসমাস এসে মধ্যস্থতা করেছেন দুজনের। পরেরবার রান-আপ শুরু করেও থেমে গিয়েছিলেন নিয়াউচি।

এমন উত্তাপের মধ্যেই জিম্বাবুয়েকে হতাশ করে যাচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ ও তাসকিন। দুজনের জুটি ফিফটি ছাড়িয়েছে, বাংলাদেশের স্কোর ৩০০ পেরিয়েছে আরও আগেই। তাসকিন যেন বনে গেছেন পুরোদস্তুর ব্যাটসম্যান। ৬১ বলে ৪৭ করেছেন তিনি। ২০১৭ সালে ক্রাইস্টচার্চে এর আগে করেছিলেন ৩৩ রান, সেটিই ছিল টেস্টে তার সর্বোচ্চ স্কোর। আজ সেটিকেও ছাড়িয়ে গেছেন তিনি। সর্বোচ্চ স্কোর গড়ার পথে এখন পর্যন্ত মেরেছেন ৭টি চার। ৩২ রানে অবশ্য একটা জীবনও পেয়েছেন তিনি। রিচার্ড এনগারাভার বলে দ্বিতীয় স্লিপে পড়েছে তার ক্যাচ।

এ প্রতিবেদন লেখার সময় দুজনের জুটি ছিল ১২১ রানের। বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ৩৯২। মাহমুদউল্লাহ ১০৪ রান করে অপরাজিত।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এর আগে নবম উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি ছিল ৩৫ রানের—সেটি ২০০৫ সালে সেটি গড়েছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা ও তাপস বৈশ্যের। সব মিলিয়ে ৯ম উইকেটে বাংলাদেশের এটি এখন তৃতীয় সর্বোচ্চ জুটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *