তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহেমদ পলক বলেছেন, দেশের ১৬ হাজার কমিউনিটি হাসপাতালে টেলিমেডিসিন সেবা চালু এবং দুই হাজারের বেশি হাসপাতালকে ডিজিটাল পদ্ধতির অধীনে আনা হবে।
গতকাল ‘করোনাকালে স্বাস্থ্য খাতে ডিজিটাইজেশন’ নিয়ে আয়োজিত ভার্চুয়াল সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশের চিকিত্সা খাতকে পুরোপুরি প্রযুক্তিনির্ভর করা হবে। প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত হবে দেশের প্রতিটি হাসপাতাল।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, সেন্ট্রালাইজড হেলথ ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে মেডিসিন ও ডায়াগনসিস রেকর্ডগুেলো ইন্টারঅপারেবল সিস্টেমের আওতায় আনা হবে। এ ছাড়া সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান এবং প্রত্যেক নাগরিক যেন তাঁর হেলথ রেকর্ড ডিজিটালি সংরক্ষণ করতে পারেন সে উদ্যোগ নেওয়া হবে। তিনি বলেন, এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে সমন্বিতভাবে প্রায় এক হাজার ৬০০ কোটি টাকার ডিজিটাল হেলথ ফর ন্যাশন প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। এর অধীনে পরীক্ষামূলকভাবে পাইলট প্রকল্প হিসেবে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৩০ ধরনের স্বাস্থ্যসেবা ডিজিটাল করা হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে প্রতিটি জেলা-উপজেলা হাসপাতালে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি আরো জানান, আইসিটি বিভাগের নিজস্ব উদ্যোগে গত করোনাকালীন ১৬ মাসে তথ্য ও সেবা সব সময় হেল্পলাইন ৩৩৩-এর মাধ্যমে ৬০ লাখের অধিক মানুষ সেবা নিয়েছে। আইসিটি বিভাগের তৈরি ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ‘সুরক্ষা’ অ্যাপে ৯৮ লাখ মানুষ ভ্যাকসিন নিতে নিবন্ধিত হয়েছেন। সেমিনারে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক এ বি এম মাকসুদুল আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইসমাইল খান, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ব্রায়ান বঙ্কিম হালদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম ও স্বাস্থ্য বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মুজিবুল হক ও ই-জেনারেশনের শামীম আহসান বক্তব্য দেন।