প্রচ্ছদ

করোনা-পরবর্তী টেকসই উন্নয়নে দরকার অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিকল্পনা : স্পিকার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: করোনা মহামারি পরবর্তী সময়ে অপরিকল্পিত বিনিয়োগ ও পদক্ষেপ, চলমান উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। এতে করে উন্নয়নের পরিবেশের অবনতি ঘটাতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

তিনি বলেন, করোনা মহামারি পরবর্তী সময়ে অপরিকল্পিত বিনিয়োগ ও পদক্ষেপ চলমান উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে পরিবেশের অবনতি এবং জলবায়ুর ক্ষতি হতে পারে। এজন্য কোভিড-১৯ পরবর্তী পরিস্থিতিতে পরিবেশ ও জলবায়ু সহনশীল পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা প্রণয়ন জরুরি।

ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন এবং ইতালির সংসদের যৌথ উদ্যোগে ইতালির রোমে আয়োজিত  ‘প্রি-কপ-২৬ পার্লামেন্টারি মিটিং’ শীর্ষক আলোচনা সভার ‘গ্রিন অ্যাপ্রোচেস টু কোভিড-১৯ রিকভারি’ সেশনে স্পিকার এসব কথা বলেন।

শনিবার (৯ অক্টোবর) জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়৷

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, কোভিড-১৯ উত্তরণে বাংলাদেশ দারিদ্র্যমুক্ত, জলবায়ু সহনশীল এবং টেকসই উন্নয়নমূলক পদক্ষেপের দিকে মনোনিবেশ করেছে৷ অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনা ছাড়া অর্থনীতির এ পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়।

এ সময় ইতালির সংসদ ও ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের প্রতি এমন একটি আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান স্পিকার। সভায় সংসদীয় প্রতিনিধিদলে ছিলেন, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, দীপংকর তালুকদার এমপি ও জাফর আলম এমপি।

স্পিকার বলেন, কোভিড -১৯ হতে পুনরুদ্ধারের কৌশল হিসেবে বাংলাদেশ অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় সামষ্টিক অর্থনৈতিক কাঠামোর মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক সবুজ প্রবৃদ্ধিকে প্রাধান্য দিয়েছে। নিম্ন-কার্বন ব্যবহার পদ্ধতির ওপর জোর দিয়ে টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থনীতির উন্নয়নে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশের অফ-গ্রিড গ্রামীণ এলাকায় ইতোমধ্যে প্রায় ৬.২ মিলিয়ন সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে, যা ওই সব এলাকার মানুষের বিদ্যুতের ব্যবহার নিশ্চিত করছে। সরকার মিনি গ্রিড সৌর সেচ এবং রুফটপ সোলারসিস্টেম ব্যবহারে গুরুত্বারোপ করেছে।

ব্রিটিশ হাউস অব লর্ডসের স্পিকার জন ফ্রান্সিস ম্যাকফেলের সভাপতিত্বে, ইতালিয়ান চেম্বার অব ডেপুটিজের প্রেসিডেন্ট রবার্তো ফিকো এবং ইতালিয়ান সিনেটের প্রেসিডেন্ট মারিয়া অ্যালিসাবেতা কেসিলাতির সঞ্চালনায় সভায় যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি কিনোট-স্পিকার হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

সভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিচালক মারিয়া নেইরা, ইন্টারন্যাশনাল সোলার এলাইন্সের অজয় মাথুর ও ইউনাইটেড ন্যাশন অ্যানভারমেন্ট প্রোগ্রাম অফিস ফর ইউরোপের পরিচালক ব্রুনো পজি বক্তব্য রাখেন।

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশের ভ্যাকসিন সার্টিফিকেটেকে স্বীকৃতি দিল যুক্তরাজ্য

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *