টুপি তৈরির কারিগরদের ব্যস্ত সময়
টুপি তৈরির কারিগরদের ব্যস্ত সময় কাটছে। ঈদ উপলক্ষে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার প্রতিটি ঘরে চলছে টুপি তৈরির কাজ। গ্রামীণ নারীদের সুনিপুণ হাতে তৈরি টুপিতে শোভা পাচ্ছে শিল্পরূপ। মধ্যপ্রাচ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশে এর চাহিদা থাকায় পুরো দমে চলছে কাজ।
কাপড় আর সুঁই সুতায় তৈরি হচ্ছে টুপি। কেউ ফুল আঁকে, কেউ আবার কাপড় কেটে দেন। এভাবেই নারীদের সুনিপুণ হাতের নকশায় একটি টুপি রূপ নেয় ঐতিহ্যবাহী শিল্পে।
রংপুরের কাউনিয়ার গ্রামীণ জনপদের নারীদের হাতে তৈরি এসব টুপি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে সুনাম কুড়াচ্ছে বিদেশেও। এখন রমজান, সামনে ঈদ, তাই দম ফেলার সময় নেই কারো। সাংসারিক কাজ এমনকি রান্না ঘরেও বসে পুরো দমে চলছে টুপি তৈরির কাজ। করোনার প্রভাবে গত দুই বছরের লোকসান হলেও এ বছর তা কাটিয়ে উঠাতে চান শতবর্ষী এ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
টুপি তৈরির কারিগররা জানান, করোনাসময়ে তাদের হাতে কোনো কাজ ছিল না। এখন হাতে কাজ আসায় খুশি তারা।
এ শিল্পের কারিগরদের সরকারি প্রণোদনার আওতায় আনার দাবি ব্যবসায়ী নেতাদের।
রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি রেজাউল করীম মিলন বলেন, অল্প সুদে এসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা ঋণের ব্যবস্থা করে দিলে তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। এছাড়াও এই শিল্পের দিকে মনযোগী হলে ভবিষ্যতে সমূহ সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে।
বেসরকারি খাতে এই শিল্পের বিকাশ ঘটলেও সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানালেন জেলা প্রশাসক।
রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেন, করোনা সময়ে আমরা এসব কারিগরের পাশে ছিলাম। ভবিষ্যতেও প্রয়োজন হলে আমরা তাদের পাশে থাকব।
সৌদি আরব, ওমান, সংযুক্ত আরব-আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের ১৬টি দেশসহ ও অন্যান্য মুসলিম দেশেও রংপুরের এ টুপির চাহিদা রয়েছে।