খেলাধুলা

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভালো করার আশা সাকিবের

ক্রীড়া প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: জিম্বাবুয়ে সফরে তিন সংস্করণেই সিরিজ জয়ের পর দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪-১ ব্যবধানে দাপুটে জয়। এরপর বাংলাদেশ সফরে আসছে নিউজিল্যান্ড। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে যেটি হবে বাংলাদেশের সর্বশেষ সিরিজ।

অস্ট্রেলিয়া সিরিজে বোলারদের পারফরম্যান্স ছিল দুর্দান্ত, তিনবার নিজেদের রেকর্ড সর্বনিম্ন রানের সম্বল নিয়ে জিতেছে বাংলাদেশ। অবশ্য মন্থর গতির উইকেটে খেলা বলে ভুগেছেন ব্যাটসম্যানরা।

তবে সাকিব আল হাসান বলছেন, বোলারদের পারফরম্যান্সের এই ধারাবাহিকতা বিশ্বকাপ পর্যন্ত টেনে নিতে পারলে সেখানেও ভালো কিছুই হবে। উইকেটের ধরন যেমনই হোক, এমন জয় দলের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।

মন্থর উইকেটে গতি আর বাউন্সের বৈচিত্র্য দারুণভাবে এ সিরিজে দেখিয়েছেন বোলাররা। তবে কন্ডিশন পরিচিত হলেও ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন তোলাই যায়।

সাকিব অবশ্য তাঁদের দায় দেখছেন না তেমন, ‘(এমন পারফরম্যান্সে) অবশ্যই সন্তুষ্টি আছে। (তবে) হয়তো প্রতি ম্যাচেই আমরা ১০-১৫ রান করে বেশি করতে পারতাম। একটা সময় ছিল, যখন এটা সম্ভব ছিল। তবে সেটা বলার পরও উইকেট খুব কঠিন ছিল নতুন ব্যাটসম্যানের জন্য। আসলে তাই ব্যাটসম্যানদের নিয়ে বলার কিছু নাই। আর একটা সিরিজ দিয়ে কাউকে বিচার করা ঠিক হবে না; কারণ, কন্ডিশন খুব কঠিন ছিল ব্যাটসম্যানদের জন্য।’

তবে বোলারদের এমন ধারাবাহিকতাই আশা করছেন সাকিব, ‘সব মিলিয়ে তো আমরা প্রতিটি ম্যাচেই খুব ভালো বোলিং করেছি। আমার কাছে মনে হয়, পাঁচটি ম্যাচে বোলিংয়ের যে ধারাবাহিকতা ছিল, এটা যদি ধরে রাখতে পারি বিশ্বকাপ পর্যন্ত, আমাদের পক্ষে ভালো কিছু করা সম্ভব।’

অস্ট্রেলিয়ানরা পুরো সিরিজেই বলেছেন, এমন কন্ডিশনে টি-টোয়েন্টি খেলেননি তাঁরা কখনো। বাউন্ডারি দূরের কথা, রান করাটাই কঠিন হয়ে উঠেছে এখানে।

সেটি দুই দলের ক্ষেত্রেই। তবে সাকিব বলছেন, সব ছাপিয়ে জয়টা গুরুত্বপূর্ণ, ‘স্কোরকার্ড দেখে হয়তো অতটা আত্মবিশ্বাসী মনে না–ও হতে পারে। তবে জিম্বাবুয়ে সিরিজ জয়, এখানে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জয়, এরপর নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে (সিরিজ) আছে—এসব আমাদের অনেক আত্মবিশ্বাস জোগাবে বিশ্বকাপের দিকে এগিয়ে চলার পথে। আমার মনে হয়, ভালো প্রস্তুতিই হবে। যদিও ব্যাটসম্যানদের হয়তো অত বেশি রান হবে না, যেহেতু আমরা মন্থর, নিচু বাউন্স ও টার্নিং উইকেটে খেলছি। কিন্তু দলের জয়ই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই আত্মবিশ্বাসটা থাকলে দলের ভেতর মানসিকতা অনেক ভালো থাকে এবং জেতার যে মানসিকতা, তা তৈরি হয়।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *