ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু ডটকম: দেশে গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে গণহারে টিকাদান কর্মসূচী শুরু হয়েছে। শুরুতে নানা ধরনের আশঙ্কার কারণে অনেকেই টিকা নিতে আগ্রহী ছিলেন না। কিন্তু তারপর দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। প্রথমদিনে টিকা গ্রহণের সংখ্যাটা কিছুটা কম থাকলেও দিন যতই যাচ্ছে টিকা গ্রহণের আগ্রহ ততই বাড়ছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড যৌথভাবে বিশ্বজুড়ে এক জরিপ পরিচালনা করেছে। যেখানে দেখা গেছে বাংলাদেশে ৬৪ শতাংশের মতো মানুষ করোনা ভাইরাসের টিকা নিতে আগ্রহী। জানুয়ারির শেষের দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইন্সটিটিউট একটি জরিপের রিপোর্ট প্রকাশ করে। সেখানে দেখা গিয়েছিল যে ৩২ শতাংশের মত মানুষে করোনা ভাইরাসের টিকা নিতে আগ্রহী।
শুরুতে টিকা নেওয়ার আগ্রহ কম থাকলেও পরে কেন এই আগ্রহ বাড়ল সেটার কারণ খুঁজে বের করে মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিবিসি একটি প্রতিবেদনে কয়েকটি বিষয়কে সামনে নিয়ে এসেছে। সেগুলো হলো-
১। টিকা নেওয়ার পর তেমন মারাত্মক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
২। সরকার এখন সবার জন্য টিকা বিনামূল্যে দিচ্ছে, কিন্তু একটা সময় এটি বিনামূল্যে নাও দিতে পারে।
৩। প্রতিদিনই টিকা নেওয়ার সংখ্যা বাড়ছে, এতে অনেকেই আগ্রহী হয়ে টিকা গ্রহণ করছে।
৪। টিকা কর্মসূচী শুরু হওয়ার পর অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ইতোমধ্যে টিকা নিয়েছেন। এতে অনেকেই আগ্রহ নিয়ে টিকা গ্রহণ করছেন।
৫। বাইরে কোথাও ভ্রমণ করতে হলে করোনা টিকার সনদ দেখাতে হতে পারে, এ কারণেও অনেকেই টিকা নিচ্ছেন।
এদিকে সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দেশে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ করোনার টিকা গ্রহণ করে। এদিন মোট ২ লাখ ২৬ হাজার ৬৭৮ জনকে করোনাভাইরাসের টিকা প্রদান করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেয়া তথ্যানুযায়ী, এটিই এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক টিকা গ্রহণের রেকর্ড। সোমবার টিকাগ্রহণকারীর মধ্যে পুরুষ রয়েছেন এক লাখ ৪৭ হাজার ১৫৫ জন এবং নারী ৭৯ হাজার ৫২৩ জন। সোমবার পর্যন্ত দেশব্যাপী চলমান গণটিকাদান কার্যক্রমে টিকাগ্রহীতার সংখ্যা ১১ লাখ ৩২ হাজার ৭১১ জনে দাঁড়িয়েছে। যার মধ্যে পুরুষ সাত লাখ ৭৩ হাজার ৬২৪ জন ও তিন লাখ ৫৯ হাজার ৮৭ জন নারী।
গত ২৪ ঘণ্টায় টিকাগ্রহণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৬২ হাজার ৭৩৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৯ হাজার ৪৫৫, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫২ হাজার ৭৪৪, রাজশাহী বিভাগে ২৪ হাজার ৬০ জন, রংপুর বিভাগে ২১ হাজার ৬১৮ জন, খুলনা বিভাগে ২৭ হাজার ৭১০ জন, বরিশাল বিভাগে ১২ হাজার ১৩১ এবং সিলেট বিভাগে ১৬ হাজার ২২৭ জন টিকা নিয়েছেন।