নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা জ্যেষ্ঠ বিচারক হাকিম আদালতের একটি আদেশের ফলে স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে একটি সংসার। ভুক্তভোগী সেলিনা বেগম স্ত্রীর স্বীকৃতি এবং শারীরিক সম্পর্কের ফলে জন্ম নেওয়া তিন মাসের সন্তান পিতৃপরিচয় পেতে যাচ্ছে।
একই আদেশে আসামি দিদারুল ইসলাম ওরফে শকুকে জামিন দিয়ে জেল সুপারের উপস্থিতিতে কারাগারে বিয়ের আয়োজন করতে কক্সবাজার জেল কর্তৃপক্ষকে (জেল সুপার) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী আসামি দিদারুল ইসলামের সাথে মামলার বাদী সেলিনা বেগমের বিয়ে পড়াতে বলা হয়েছে। এর পর দিদারুলকে মুক্তি দিয়ে আদালতকে বিষয়টি অবহিত করতে হবে।
গতকাল সোমবার চকরিয়া জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক রাজীব কুমার দেব এই আদেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী ভুক্তভোগী সেলিনা বেগমের কৌঁসুলী চকরিয়া জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের আইনজীবী মো. মিজবাহ উদ্দিন এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। সেলিনা বেগম আদালতের এই আদেশের ফলে মহাখুশি।
তিনি বলেন, ‘আমি আদালত এবং বিচারকের কাছে চিরকৃতজ্ঞ। আমি কল্পনাও করিনি অল্প সময়ের মধ্যে আমি এই ধরনের আদেশ পাবো। বিচারকের মহানুভবতার কারণে আমি স্ত্রীর স্বীকৃতি এবং আমার তিন মাসের পুত্র মো. তামিম পিতৃপরিচয় পেয়ে গেছে। এজন্য আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে দুই হাত তুলে দোয়া করেছি বিচারকের জন্য।’