তথ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

 ‘জেমস ওয়েব’ টেলিস্কোপ জানাবে মহাবিশ্বের বিবর্তনের ইতিহাস

ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু বাংলা: নাসা, ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি এবং কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সি যৌথভাবে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ তৈরি করেছে। এই টেলিস্কোপ গভীর মহাশূন্যে দৃষ্টি ফেলে কোটি কোটি বছর অতীতের মহাবিশ্বের সৃষ্টির সূচনায় প্রাচীনতম ছায়াপথগুলো তৈরির শুরুতে মহাজাগতিক ভোরের স্পষ্ট ঝলক দেখার সুযোগ করে দেবে।

নাসা বলেছে, এটি হবে মহাকাশে পাঠানো সবচেয়ে বড় এবং এযাবতকালের সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ। হাবল টেলিস্কোপের কার্যকাল শেষে অবসরে যাওয়ায় জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ সেখানে প্রতিস্থাপিত হবে। আগামী ২২ ডিসেম্বর জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের উৎক্ষেপণের কথা রয়েছে। এই টেলিস্কোপ মহাশূন্যে এতো গভীরে এবং সময়ের কয়েক বিলিয়ন বছর অতীতের ঘটনা পর্যবেক্ষণ করবে যা অতীতে কখনো সম্ভব হয়নি।

মহাবিস্ফোরণের মাত্র কয়েকশ’ মিলিয়ন বছর পরে মহাবিশ্বের যৌবন কালের ঘটনা ও পটভূমি এই টেলিস্কোপ মানুষের সামনে তুলে ধরবে। হাবল টেলিস্কোপ মহাবিশ্বেও ১৩.৪ বিলিয়ন অতীত সীমায় প্রাচীনতম ছায়াপথ ‘জিএন-জেড ১১’তে দৃষ্টি ফেলেছে।

নাসার গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের ইন্সট্রুমেন্ট সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার বেগোনিয়া ভিলা এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘বিজ্ঞানের খুব উচ্চ লক্ষ্যের কথা মাথায় রেখে’ ওয়েব টেলিস্কোপ ১৩.৫ বিলিয়ন বছর পেছনে ফিরে তাকাবে, যখন মহাবিশ্বের ছায়াপথগুলো বিবর্তিত হয়েছিল।

তিনি বলেন, আমাদের এই পর্যবেক্ষণের লক্ষ্য হচ্ছে, ‘আমরা আজ যে ধরণের ছায়াপথে বাস করি, এ পর্যায়ে পৌঁছাতে ছায়াপথগুলো কীভাবে বিবর্তিত হয় এবং বিকশিত হয়’ তা পর্যবেক্ষণ করার পাশাপাশি প্রথম নক্ষত্রগুলোর দিকে দৃষ্টি দেয়া এবং পানি, কার্বন ডাই অক্সাইড ও মিথেনের মতো উপাদানগুলো শনাক্ত করা যে গুলো প্রাণের সৃষ্টির ইঙ্গিত দেয়।’ জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ প্রথম ছায়াপথগুলো আমাদের নজরে আনবে, যা থেকে দ্বিতীয় প্রজন্মের নক্ষত্রের জন্ম হয়েছে।

আরো পড়ুন:

রোববার থেকে দেশে চালু হচ্ছে ফাইভ-জি

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *