জীবনের সবচাইতে কঠোর ৫টি সত্য
জীবন সম্পর্কে একটু গভীরভাবে ভাবি আমরা কতজন? সারাটা দিন ঝগড়াঝাঁটি, গীবত, অহংকার ইত্যাদি কতশত তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ব্যস্ত থাকি আমরা। কী কী বলল, কী কী করল ইত্যাদি নিয়ে আমাদের ভাবনার শেষ নেই। কিন্তু আসলেই কি জীবন মানে কেবল এটুকুই? জেনে নিন জীবনের সবচাইতে কঠোর ৫টি সত্য। যদি যেগুলো একবার মন থেকে মেনে নিতে পারেন, জীবনকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গিটাই বদলে যাবে আপনার।
১)নিজের সমস্যা নিজেকেই সমাধান করতে হয়
হ্যাঁ, যতই আপনার অঙ্কে আপন মানুষ থাকুক না কেন, সমস্যার সময়ে আসলে কাউকেই পাওয়া যায় না। শুধু আপনি নন, এই পৃথিবীতে প্রত্যেকটি মানুষকেই নিজের সমস্যা নিজে সমাধান করতে হয়। আর তাই, কাজ করুন ভেবেচিন্তে। মনে রাখবেন, নিজে ঝামেলা তৈরি করলে ফেঁসে যাবেন কেবল আপনি একাই।
২) জীবন “পারফেক্ট” হওয়া সম্ভব না
একটা পারফেক্ট জীবনের স্বপ্ন সবাই দেখি। কিন্তু আসলে কেউই ভেবে দেখি না যে জীবনের সবকিছু শতভাগ নিজের মনের মত হওয়া আসলে মোটামুটি অসম্ভব একটি ব্যাপার। পৃথিবীর সবচাইতে সফল, সবচাইতে ধনী ব্যক্তিটিও নিজের জীবনকে পারফেক্ট বলতে পারবেন না। কেন? কারণ মানুষের আর চাহিদার শেষ নেই আর এই অন্তহীন চাহিদা মানুষের মনে অতৃপ্তি আজীবন ধরে রাখে।
৩) ব্যর্থতা খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়
ব্যর্থ হয়েছেন বলে লজ্জিত হবার কিছু নেই। আপনার জীবনে এখানেই শেষ, আপনাকে দিয়ে কিছু হবে না ইত্যাদি ভাবারও কোন কারণ নেই। সফলতার চাইতে বরং ব্যর্থতাই জীবনে বেশী আসে আর সেটাই স্বাভাবিক। ব্যর্থতায় ভেঙে পড়লে জীবনে কিছু হয় না।
৪) যা হয়ে গেছে, সেটাকে বদলে ফেলার উপায় নেই
অতীতকে বদলে ফেলা যায় না। যেটা করে ফেলেছেন, যা বলে ফেলেছেন সেগুলো আসলে বদলে ফেলার কোন সুযোগ নেই। আর কখনো হবেও না। তাই কথা বলুন বুঝে, কাজ করুন ঠাণ্ডা মাথায়। জীবনের অনেক সমস্যা থেকে দূরে থাকতে পারবেন।
৫) মৃত্যু আসতে পারে যে কোন মুহূর্তে
জীবনের সবচাইতে বড় সত্য এটাই। এই যে এখন এই লেখাটি পড়ছেন আপনি, ঠিক পরের মুহূর্তেই শেষ হয়ে যেতে পারে জীবনে। মৃত্যুকে জয় করার ক্ষমতা আমাদের নেই, মৃত্যুর সামনে আমরা সকলেই অসহায়। যে জীবনকে আসলে ধরেই রাখতে পারবো না, সেই জীবনে এত স্বার্থপরতা আর ক্ষুদ্রতা দেখিয়ে কী লাভ বলুন?