ধূমকেতু প্রতিবেদক: নারীরা জিনগত কারণে বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে। এ জন্য তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো। নারীরা ডাবল এক্স ক্রোমোজোমের কারণেই এই সুবিধা পেয়ে থাকেন। এছাড়া পুরুষরা আগে থেকেই অসংক্রামক রোগে ভোগেন বলেই করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে তাদের মৃত্যুঝুঁকি বাড়ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
আজ মঙ্গলবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে দৈনিক স্বাস্থ্য বুলেটিনে গ্লোবাল হেলথ রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী এসব কথা জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে দেশে আরও ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। যারা মারা গেছেন তাদের বিশ্লেষণ তুলে ধরে নাসিমা সুলতানা বলেন, মৃত ৪৩ জনের মধ্যে ৩৮ পুরুষ এবং পাঁচজন নারী।
তাদের বয়স বিশ্লেষণে জানানো হয়, মারা যাওয়াদের মধ্যে একজন শিশু রয়েছে, যার বয়স ১১ থেকে ২০ এর মধ্যে। এছাড়াও ৩১ থেকে ৪০ বছরের একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ছয়জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৮ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের পাঁচজন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সসীমার রয়েছেন দুজন।
অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘সারা বিশ্বে পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে করোনায় পুরুষদের মৃত্যুঝুঁকি বেশি এবং আক্রান্ত হওয়ার পর তারা গুরুতর অসুস্থ হচ্ছেন। সায়েন্সডিরেক্ট ডটকম সূত্রে গ্লোবাল হেলথ রিপোর্ট থেকে জানা যায়, পুরুষদের আক্রান্ত হওয়ার পর গুরুতর অবস্থা এবং মৃত্যুঝুঁকি বেশি হওয়ার কারণগুলো হলো– পুরুষরা আগে থেকেই অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হন বেশি। এর মধ্যে হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস উল্লেখযোগ্য।
তিনি বলেন, পেশাগত কারণেও বাইরে চলাচল বেশি থাকে পুরুষদের। এছাড়া জীবনযাপন পদ্ধতি যেমন– ধূমপান ও মদ্যপানের প্রবণতা বেশি হয় এবং সামাজিক আইসোলেশনে কম থাকেন। এসব কারণে তারা আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি এবং তাদের মৃত্যুঝুঁকিও বেশি।