প্রচ্ছদআন্তর্জাতিক

জার্মানির পরবর্তী নির্বাচনে কেমন প্রভাব ফেলবে জলবায়ু ইস্যু


বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বন্যা, খরা, অস্বাভাবিক উচ্চ তাপমাত্রা, দাবানলের মতো বিপর্যয় জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক কুপ্রভাব হাড়ে হাড়ে টের পাইয়ে দিচ্ছে বিশ্বকে৷ দেশটির এ জলবায়ু সংকট দীর্ঘদিন ধরে ভোটারদের জন্য দীর্ঘস্থায়ী উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, বেকারত্বের হার, কর এবং স্বাস্থ্যসেবার মতো অন্যান্য সমস্যাগুলিকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে এই জলবায়ু সমস্যা ।
গত জুলাইয়ে জার্মানির পশ্চিমাঞ্চল, বেলজিয়ামের পূর্বাঞ্চল, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, লুক্সেমবুর্গ ও সুইজারল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলে অস্বাভাবিক মাত্রায় বৃষ্টিপাত ও বন্যার কারণে প্রাণহানি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি দেখা গেছে৷
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার সাইমন ফ্রেজার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব কমিউনিকেশনের সহযোগী অধ্যাপক শেন গানস্টার সিএনএনকে বলেন, ” জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে জার্মানিদের আগে এতোটা মাথাব্যাথা ছিল না। কিন্তু কিছুদিন যাবৎ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব দেখে তারা এবার সরকার নির্বাচন নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন।
প্রধান রাজনৈতিক দল গুলোর মধ্যে যারা ভবিষ্যৎ জলবায়ু পরিকল্পনার প্রস্তাবনা দিয়েছেন তাদেরকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। জনগণ চায় যারা জলবায়ু নিয়ে কাজ করবে তাদেরকেই ভোট দিতে।
গত বছর কোপেনহেগেনে আবহাওয়া ও পরিবেশ নিয়ে আলোচনা মুখ থুবড়ে পড়েছে৷ তাহলে কী এবছর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে? জার্মান আবহাওয়া দপ্তর জলবায়ু ও পরিবেশের ওপর তীব্র নজর রাখছে৷ সেখানকার কর্মীরা পরিবর্তনগুলো তারা নিখুঁতভাবে নথিপত্রে রাখছেন৷ সেই সঙ্গে কারণগুলোও খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন তারা৷
১২ ও ১৫ই জুলাইয়ের বিপর্যয়ের কারণে শুধু জার্মানি ও বেলজিয়ামে কমপক্ষে ২২০ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ বিপর্যস্ত এলাকায় এখনো স্বাভাবিক জীবন ফিরে আসেনি৷ সরকারি ও বেসরকারি সহায়তার মাধ্যমে ত্রাণ ও পুনর্গঠনের উদ্যোগ চলছে৷ এমন প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠছে, এমন ঘটনার জন্য জলবায়ু পরিবর্তন কতটা দায়ী?\
গত এপ্রিল মাসে জার্মান আবহাওয়া দপ্তরের আবহাওয়া বিশ্লেষক গেরহার্ড মুলার ভেস্টারমায়ার জানান, ‘‘এপ্রিল মাসে গরম পড়েছে খুব বেশি, খটখটে রোদ এবং আবহাওয়া ছিল অত্যন্ত শুষ্ক৷ গত পাঁচ বছরে এরকম এপ্রিল আমরা মাত্র দু’বার পেয়েছি৷ ২০০৭ এবং ২০০৯ সালে৷ আর তৃতীয়বার এলো ২০১১ সালে৷ সবচেয়ে কম গরম যেদিন ছিল, সেদিনও ১১ ডিগ্রী তাপমাত্রা লক্ষ্য করা গেছে৷ অথচ সাধারণত তা ৭-এর বেশি হয় না৷ ২০০১ সালের এপ্রিলে সবচেয়ে বেশি গরম পড়েছে৷ ১৮৮১ সালের পর এতো গরম এপ্রিল জার্মানি পায়নি৷

/জেড এইচ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *