জার্মানির রাজধানী বার্লিনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) জার্মানিতে উপস্থিত থেকে তিনি এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশ দূতাবাসে অনুষ্ঠিত সভায় মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধামন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মোতাবেক মুজিববর্ষে ই-পাসপোর্ট সাধারণ জনগণের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ২০১০-এ বাংলাদেশ সরকার মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (MRP) এবং বাংলাদেশ ভ্রমণ ইচ্ছুক বিদেশি নাগরিকদেরকে মেশিন রিডেবল ভিসা (MRV) প্রদান করে। বর্তমানে ৭৩ টি বিদেশী মিশনে এমআরপি ও এমআরভি সেবা চালু রয়েছে। এখন পযর্ন্ত তিন কোটি ১১ লাখ ১০ হাজার এমআরপি ইস্যু করা হয় এবং ১৬ লাখ ১৯ হাজার এমআরভি ইস্যু করা হয় বলেও জানান তিনি।
‘এমআরপি ও এমআরভি’র প্রবর্তন করে সরকার এই সেবার আধুনিকায়ন বন্ধ করেনি। গত ২২ জানুয়ারি, ২০২০-এ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বর্তমান বিশ্বের সর্বাধুনিক ই-পাসপোর্ট এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করে বলেন, “ই-পাসপোর্ট বাংলাদেশের জনগণের জন্য মুজিববর্ষের উপহার।”
‘যুগের চাহিদা ও উন্নত দেশের সংগে তাল মিলিয়ে জাতীয় অবস্থান, মর্যাদা সুসংহত করার লক্ষ্যে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন ও চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের সব পাসপোর্ট অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট প্রদান করা হচ্ছে। বিমানবন্দরে ই-গেইট স্থাপন করা হয়েছে যা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম এমনকি উন্নত দেশগুলির স্বল্পসংখ্যক দেশে স্থাপিত হয়েছে। এর মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী চিন্তার সফল বাস্তবায়ন সম্ভব হলো।’
‘বিদেশস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মধ্যে জার্মানির বার্লিনে প্রথম ই-পাসপোর্টের roll-out আজ থেকে শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব দূতাবাসে ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম শুরু হবে। ইতিমধ্যে প্রায় ১৫ লাখ আবেদন জমা হয়েছে ই-পাসপোর্ট এর জন্য। প্রায় ১০ লাখ ই-পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়েছে।’
পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আইয়ূব চৌধুরী বলেন, ‘বতর্মানে দেশের ৬৪ জেলার ৬৯ টি অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। শিগগিরই দেশের ৮০ টি মিশনে এর কার্যকারিতা শুরু হবে।’
অনুষ্ঠানে জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মোশারফ হোসেন ভূইয়া বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নেতৃত্বের গুণাবলি ধারণ করে তাঁর সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন, অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নিশ্চিতকরণের পাশাপশি বলিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ কূটনীতির মাধ্যমে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ূব চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাস জার্মানির মান্যবর রাষ্ট্রদূত মো. মোশারফ হোসেন ভূইঁয়া, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল্লা আল মাসুদ চৌধুরী এবং জার্মান অবস্থানরত বাংলাদেশী প্রবাসীবৃন্দ প্রমুখ।
/জেড এইচ