রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় হাইকোর্টে জামিন পেয়েছেন রাজশাহীর তিন বিএনপি নেতা।
বুধবার দুপুরে বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি রিয়াজ উদ্দিন খানের দ্বৈত বেঞ্চ ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাদের জামিন দেয়। ভার্চুয়ালি জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
জামিন পাওয়া তিন নেতা হলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন।
এ মামলায় বিএনপির রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুও আসামি। তবে তিনি জামিন নিতে হাইকোর্টে যাননি।
জামিন পাওয়া তিন নেতার আইনজীবী ছিলেন মাহমুদুল হাসান স্বপন। তার সঙ্গে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী হিসেবে ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এ জে মোহাম্মদ আলী।
বিএনপি নেতা মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বুধবারের কার্যতালিকায় তাদের মামলাটি ছিল ৭২ নম্বরে। ভার্চুয়ালি শুনানি শেষে দুপুরে হাইকোর্ট আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাদের জামিন দেয়। এরপর তারা নিম্ন আদালতে হাজির হবেন। রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুও কয়েক দিনের মধ্যে হাইকোর্টে জামিন চাইবেন।
বিএনপির এই চার নেতার বিরুদ্ধে গত ২ মার্চ রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি হয়। সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে মিনু বলেন, ‘আজ রাত কাল সকাল না-ও হতে পারে। পঁচাত্তর মনে নাই?’
তার এই বক্তব্যে তোলপাড় শুরু হয়। মহানগর আওয়ামী লীগ ক্ষমা চাইতে তাকে ৭২ ঘণ্টা সময় দেয়। তা না হলে মামলার ঘোষণা দেয়া হয়।
৭২ ঘণ্টা পর মিনু একটি বিবৃতি দিয়ে নিজের ওই বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তবে মহানগর আওয়ামী লীগ এতে সন্তুষ্ট হতে পারেনি। তারা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার জন্য আবেদন করে। জেলা প্রশাসক আবেদনটি অনুমতির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠান।
মন্ত্রণালয় অনুমতি দেয়ার পর নগর আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক মুসাব্বিরুল ইসলাম ১৬ মার্চ রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪-এ (আমলি আদালত, বোয়ালিয়া) মামলাটি করেন। এরপর আদালত এই চার নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
/জেড এইচ