জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) মাদকের সিন্ডিকেট চিহ্নিত, ধর্ষক ও তার সহায়তাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করাসহ পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে নিপীড়নবিরোধী মঞ্চ।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশ ভাস্কর্যের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় নিপীড়নের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনি ও সম্প্রতি ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমানের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্টের পদত্যাগ দাবি করেন আন্দোলনকারীরা। দাবিসমূহ বাস্তবায়ন না হলে আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা বন্ধ করার হুমকি দেন তারা।
বিক্ষোভ সমাবেশে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী সোহাগি সামিয়া বলেন, একদিকে যেমন শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছে অন্যদিকে ক্যাম্পাসে প্রহসন চলছে। প্রশাসন আমাদের কাছে সময় চেয়েছিল পাঁচ কার্য দিবসের মধ্যে সকল অছাত্রদের বের করে দেবে কিন্তু তারা এখনো বের করতে পারেনি। প্রশাসন গুটি কয়েক অছাত্রদের বের করে দিয়ে দেখাচ্ছেন যে, আমরা তো অছাত্রকে বের করে দিচ্ছি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। প্রশাসন যদি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয় তাহলে যেন ক্ষমতা ছেড়ে দেয়।
অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, আমরা ইতোপূর্বে নিরপেক্ষ তদন্ত ও বিচারের স্বার্থে প্রক্টর ও প্রভোস্টের পদত্যাগ দাবি করেছি। কিন্তু প্রশাসন সে দাবি মেনে নেয়নি। সারাদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় যেমন ঢাবি, চবিতে নিপীড়কদের বিচার হচ্ছে। অথচ আমাদের এখানে হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন নিরাপদ পরিবেশ নেই। ভর্তি পরীক্ষা নিতে চাইলে, সবার জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করতে চাইলে এই প্রক্টর ও প্রভোস্টের পদত্যাগ অত্যন্ত জরুরি।
অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে যে সিদ্ধান্তগুলো এসেছে তার কোনোটাই পূর্ণ বাস্তবায়ন হয়নি। শিক্ষক সমিতির সভায়ও এ বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। সেখানে কোনো শিক্ষকেরই মতের ভিন্নতা ছিল না। আমরা স্পষ্টত বলতে চাই, যদি সিন্ডিকেটে দৃশ্যমান অগ্রগতি না দেখি, তাহলে ভর্তি পরীক্ষা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হলে তার সম্পর্ণ দায়ভার প্রশাসনকেই নিতে হবে।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।