জান্তা সরকারের আপত্তি সত্ত্বেও জাতিসংঘে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত কিয়াও মোয়ে তুনকে দায়িত্বে বহাল রাখতে সংস্থাটিকে খোলা চিঠি দিয়েছেন দেশটির ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের কয়েকশ বিশিষ্ট নাগরিক।
চিঠিতে তারা লিখেছেন, মিয়ানমারের সামরিক শাসকদের দাবি মেনে মোয়ে তুনকে প্রত্যাহার করা হলে এটি জাতিসংঘে দেশটির জনগণের বক্তব্য তুলে ধরায় বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সদস্যদের প্রতি পাঠানো চিঠিটি আজ সোমবার প্রকাশ করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
মোয়ে তুন জাতিসংঘে মিয়ানমারের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন কি না সেটি নিয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার বৈঠকে বসবে সংস্থাটির নয়টি সদস্য দেশ। এদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়াও রয়েছে। পরে আলোচনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে সাধারণ পরিষদকে সুপারিশ করবে এই সদস্য দেশগুলো।
চিঠিতে স্বাক্ষরকারী সংস্থাগুলোর একটি প্রগ্রেসিভ ভয়েস। এর প্রতিষ্ঠাতা খিন ওহমার বলেন, ‘সদস্য দেশগুলো সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে জাতিসংঘে মিয়ানমারের সাধারণ জনগণের অধিকার নিয়ে কথা বলার সুযোগ থাকবে না। এ ছাড়া মিয়ানমারে নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালানো জান্তাদেরও জাতিসংঘে প্রতিনিধি হিসেবে আসার আশঙ্কা রয়েছে।’
কিয়াও মোয়ে তুন বর্তমানে মিয়ানমারের জান্তাবিরোধীদের গঠিত জাতীয় ঐক্য সরকারের হয়ে জাতিসংঘে প্রতিনিধিত্ব করছেন।
এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে এক সেনা অভ্যুত্থানে সু চির সরকারকে উৎখাতের পর মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করেছে সেনাবাহিনী। এরই মধ্যে তাদের হাতে দেশটির প্রায় এক হাজার নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। গ্রেপ্তার হয়েছেন আরও প্রায় আট হাজার জন। এ ছাড়া ১০৪ শিশুসহ জান্তা সরকারের হাতে আটক হয়েছেন প্রায় সাড়ে ছয় হাজার জন।
এখন পর্যন্ত দেশটিতে কোনো নতুন সরকার গঠন করতে পারেনি সেনাবাহিনী। অন্যদিকে, জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ডাক দিয়েছে বিরোধীদের গঠিত ছায়া সরকার।
/জেড এইচ