আন্তর্জাতিক

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন আসন্ন : আলোচনায় মহামারি ও জলবায়ু পরিবর্তন

জাতিসংঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশন উপলক্ষ্যে সংস্থার সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে একে একে হাজির হচ্ছেন বিশ্ব নেতারা। যদিও ১৯৩টি সদস্য দেশের নেতাদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ ভিডিও বক্তব্য দেবেন। বাকিরা থাকবেন সশরীরেই। এবারের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মাত্রা বেশি থাকায় গত বছর বিশ্ব নেতাদের এই মিলনমেলা ভার্চুয়ালি বসতে বাধ্য হয়েছিল। ২১ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর এবারের অধিবেশন শেষ হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সশরীরে অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ঢাকা থেকে রওনা হয়েছেন। এবারও বাংলায় ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
নেতাদের জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে প্রবেশ মানেই ধরা হচ্ছে, সবাই কোভিড-১৯ টিকা নিয়েছেন। রাষ্ট্রপ্রধানদের টিকার সনদ জমা নেওয়া বা কোনো প্রমাণ দেখতে চায়নি জাতিসংঘ।
এবার প্রথম বক্তব্য দেবেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জয়ের বলসেনারো। তিনি নিজেই করোনার টিকার বিষয়ে সন্দিহান। গত সপ্তাহেও নিজের করোনার টিকা দরকার নেই বলে জানিয়েছেন ব্রাজিলের এই প্রেসিডেন্ট। তাঁর দাবি, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হওয়ার কারণে তাঁর শরীরে পর্যাপ্ত রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে।
আগামী বছরের প্রথম ছয় মাসের মধ্যে পৃথিবীর ৭০ শতাংশ মানুষকে কোভিড টিকার আওতায় আনতে চায় জাতিসংঘ। এ বিষয়ে পরিকল্পনা প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে এবারের সাধারণ অধিবেশনে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস জানান, এ পর্যন্ত ৫৭০ কোটি মানুষের টিকা দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে। তবে, এই টিকা পাওয়া মানুষের মধ্যে মাত্র দুই শতাংশ মানুষ আফ্রিকা মহাদেশের।

এদিকে, করোনার সংক্রমণের আশঙ্কা থাকায় মাত্র ২৪ ঘণ্টা নিউইয়র্কে অবস্থান করবেন জো বাইডেন। আগামীকাল সোমবার জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং পরে মঙ্গলবার অধিবেশনের শুরুর দিন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের পরেই ভাষণ দেবেন বাইডেন।
জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের দূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেছেন, কোভিড-১৯ মহামারি প্রতিরোধ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে আগামী দিনের লড়াই নিয়ে কথা বলতে পারেন জো বাইডেন। এর সঙ্গে মানবাধিকার রক্ষা, গণতন্ত্র ও আন্তর্জাতিক আইনভিত্তিক স্থিতিশীলতা নিয়েও কথা বলবেন বাইডেন।

/জেড এইচ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *