শিক্ষা ও সাহিত্য

জবির বাসে শিক্ষার্থীদের ঈদযাত্রা শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: ঈদুল আজহা উপলক্ষে পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ি যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহন ও বিআরটিসির ভাড়া বাসসহ মোট ২৮টি গাড়িতে করে ১,৫০৭ জন শিক্ষার্থী বাড়ি যাচ্ছে।

শনিবার (১৭ জুলাই) সকাল ৮টা ২০ মিনিটের পরে রাজশাহী, রংপুর, সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলার উদ্দেশ্যে বাসগুলো ক্যাম্পাস ছেড়েছে। এর আগে উপাচার্য ড. মো. ইমদাদুল হক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।

জানা যায়, বিধিনিষেধের কারণে ঢাকায় আটকে পড়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৭-১৯ জুলাই বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাস দেওয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়। এর মধ্যে ১৭ জুলাই রাজশাহী, রংপুর, সিলেট বিভাগ, ১৮ জুলাই বরিশাল, খুলনা বিভাগ এবং ১৯ জুলাই পর্যায়ক্রমে চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ বিভাগের শিক্ষার্থীদের জেলা ও বিভাগীয় শহরে পৌঁছে দেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে বাড়ি ফিরতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস যাচ্ছে আমার জেলায়। পরিবারের সদস্যদের সাথে ঈদ করব, খুব ভালো লাগছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনেক ধন্যবাদ, এরকম একটা উদ্যোগের জন্যে। বিশেষ করে উপাচার্য ও প্রক্টর মহোদয় অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক আবদুলাহ আল মাসুদ বলেন, ‘সকাল ৮টার পরে তিনটি বিভাগের বিভিন্ন রুটে গাড়ি যাচ্ছে। একতলা ৬টি বাসে করে সিলেট বিভাগে ২৯৩ শিক্ষার্থী, ১২টি বাসে করে রাজশাহী বিভাগে ৫০২ শিক্ষার্থী, রংপুর ৭১২ জন শিক্ষার্থী যাচ্ছেন। আজকে মোট ১৫০৭ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে মোট ২৮ টি বাস যাচ্ছে তিনটি বিভাগে। এর মধ্যে ৬টি বাস বিআরটিসির, বাকীগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বাস।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, ‘এতজন শিক্ষার্থীকে বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের পাশাপাশি আমরা ভাড়া বাসও নিয়েছি। প্রতিটি বাসে আমরা নিয়মিত খোঁজখবর রাখছি। উপাচার্য মহোদয়ও সকাল সকাল ছুটে এসেছেন শিক্ষার্থীদের বিদায় জানাতে। এখন শিক্ষার্থীরা নিরাপদে বাড়ি পৌঁছাতে পারলে আমাদের এই প্রচেষ্টা সফল হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *