প্রচ্ছদ

জনগণকে উস্কে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করলেন সু চি

ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু বাংলা: মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চি তার বিরুদ্ধে আনা জনগণকে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানে গ্রেপ্তার সু চি মঙ্গলবার আদালতে তার প্রথম শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।

ক্ষমতা থেকে উৎখাত করার পর সামরিক জান্তা ৭৬ বছর বয়সী সু চির বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এনেছে, তাতে দোষী প্রমাণিত হলে তাকে কয়েক বছর কারাগারে কাটাতে হবে। মঙ্গলবার সু চি দেশে সামরিক শাসনের নিন্দা জানিয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে তাদের সঙ্গে কাজ না করারও আহ্বান জানান। খবর আল জাজিরার

তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সু চির ডিফেন্স টিমের এক সদস্য বলেন, অং সান সু চির বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে সেগুলো তিনি মিথ্যা প্রমাণ করতে পারবেন। সু চির শুনানি বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমে কথা বলার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় এর বেশি আর কিছু বলেননি সু চির ওই আইনজীবী।

গত বছরের নভেম্বরে নির্বাচনের পর সু চির দল এনএলডির সদস্যরা নতুন সরকার গঠন করে সংসদে বসার ঘণ্টা কয়েক আগে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করে। সু চিসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের গৃহবন্দি করে রাখে।

অভ্যুত্থানের পর পরই দেশটির সাধারণ মানুষ সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রকাশ করে রাস্তায় নেমে আসে। সেনাবাহিনী জনসাধারণের আন্দোলন প্রতিহত করতে শক্তি প্রয়োগ শুরু করলে শিশুসহ এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়। আটক হয় কয়েক হাজার মানুষ। অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিকাল প্রিজনার্স নামের একটি স্থানীয় অধিকার গ্রুপ এই হিসাব দিয়েছে।

অং সান সু চি অবৈধভাবে ওয়াকি টকি রাখা, করোনাকালীন বিধিনিষেধ লঙ্ঘন ও অফিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট লঙ্ঘনসহ ১০টি অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন। গ্রেপ্তারের পর সু চিকে একটি অজ্ঞাত স্থানে রাখা হয়েছে।

রাজধানী নেপিদোতে বিশেষভাবে তৈরি আদালতে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের ব্যাপারে মঙ্গলবার শুনানি শুরু হয়।

আরো পড়ুন:

সেনা অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল সুদান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *