নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফাল্গুনী দাস তন্বীকে মারধরের মামলায় একই সংগঠনের দুই কেন্দ্রীয় নেত্রীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। ওই মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে আদালত এ আদেশ দিয়েছেন৷
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্ত ইসলাম মল্লিক গতকাল সোমবার এই আদেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল জাহিদ ভূঁইয়া আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ছাত্রলীগের যেসব নেতা-কর্মীর নামে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন তারা হলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেনজীর হোসেন, সহসভাপতি জিয়াসমিন শান্তা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ জালাল, বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সংস্কৃতিবিষয়ক উপসম্পাদক শেখ তানসেন এবং সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মো. এনামুল হক।
গত বছরের ২১ ডিসেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ ও বঙ্গবন্ধু টাওয়ার এলাকায় ফাল্গুনী দাসকে মারধর করেন বেনজীর হোসেন ও জিয়াসমিন শান্তা৷ ফাল্গুনীর অভিযোগ, মো. শাহ জালাল মারধরে সহযোগিতা করেন ও তার মুঠোফোন ছিনতাই করেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বেনজীর ও জিয়াসমিন তখন দাবি করেন, ‘বেয়াদবি’ করায় তারা ফাল্গুনীকে ‘শাসন’ করেছেন। শাহ জালালও তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য নিজে এই ঘটনার তদন্ত করেছিলেন। জানতে চাইলে আল নাহিয়ান খান গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর বলেছিলেন, ‘আমরা (সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক) দুজন টিম হয়ে ঘটনাটির তদন্ত করেছি। অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। একটি কথাই বলব, এভাবে শাসন করাটা আসলে সমীচীন নয়।’
ঘটনার পর অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি৷ পরে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা চার–পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগী ফাল্গুনী৷ আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন৷
বাদীপক্ষের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল জাহিদ ভূঁইয়া বলেন, প্রায় ছয় মাস আগে পিবিআই আদালতে ওই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়৷ গতকাল সোমবার পিবিআইয়ের দেওয়া সেই প্রতিবেদনটি গ্রহণ করে পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন আদালত।
আরো পড়ুন:
নোয়াখালীতে বিবস্ত্র করে নির্যাতন : ১৩ আসামির ১০ বছর করে কারাদণ্ড