নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে বর্তমানে পর্যটক ভিসা দেওয়া বন্ধ রেখেছে ভারত। তবে ব্যবসা, কর্মসংস্থান, চিকিৎসা-সহ অন্য সব ক্যাটাগরিতে ভিসা দিচ্ছে দেশটি।

এরই মধ্যে চলতি বছরের বিগত ছয় মাসে তিন লাখ বাংলাদেশিকে ভিসা ইস্যু করেছে ভারতীয় হাইকমিশন। এগুলোর বেশির ভাগই মেডিকেল ও মেডিকেল অ্যাটেনডেন্ট ভিসা।

চলতি বছরের শুরুর দিকে করোনা পরিস্থিতি সহনশীল থাকলেও মার্চের শেষ দিক থেকে পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে।

ভারতে করোনা পরিস্থিতি তুলনামূলক বেশি খারাপ থাকায় ২৬ এপ্রিল থেকে সরকার স্থলবন্দরগুলো দিয়ে যাত্রী পারাপার বন্ধ করে দিয়েছিল।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, এই মহামারীর মধ্যেও ছয় মাসে তিন লাখ ভারতীয় ভিসা থেকে ধারণা করা যায় কতসংখ্যক বাংলাদেশি চিকিৎসার জন্য ভারতে যায়। গত বছর মার্চ থেকে ভারত সারা বিশ্বে পর্যটক ভিসা দেওয়া স্থগিত রেখেছে।

এখন বাংলাদেশ থেকে যারা ভারতে যাচ্ছে তাদের বেশির ভাগই মেডিকেল চিকিৎসার জন্য রোগী ও তাদের ‘অ্যাটেনডেন্ট’রা।

এদিকে, বর্তমানে পর্যটক ভিসা থাকলেও যেহেতু দেশটিতে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, তাই এখন শর্ত সাপেক্ষে এই ক্যাটাগরির ভিসা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে ভারত।

করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত কঠোর বিধি-নিষেধকালে ভারতীয় ভিসা আবেদনকেন্দ্রগুলোও বন্ধ ছিল। বিধি-নিষেধ প্রত্যাহারের পরপরই আবেদনকেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভিসা আবেদনকেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকার সময়ও জরুরি মেডিকেল ভিসা দেওয়া হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে ভিসার জন্য অনেকে ভারতীয় হাইকমিশনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সেই ভিসা আবেদনগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হয়েছে।

সেই সময় ভারতের সঙ্গে নিয়মিত ফ্লাইট বন্ধ থাকায় অনেক ক্ষেত্রে রোগীদের এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে যেতে হয়েছে।

এদিকে গত এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ সরকার ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ায় প্রথম দিকে যারা সেখানে আটকে পড়েছিল তাদের প্রায় সবাই ছিল মেডিকেল ও মেডিকেল অ্যাটেনডেন্ট ভিসাধারী। তারা বাংলাদেশ মিশনগুলোর ছাড়পত্র সাপেক্ষে দেশে ফিরেছে।

তাদের একজন  গণমাধ্যমকে বলেন, করোনা মহামারীর মধ্যেও স্ত্রীর চিকিৎসা করাতে তিনি ভারতের ভেলোরে নিয়ে গিয়েছিলেন। কারণ তার স্ত্রীর বেশ কিছু জটিলতা ছিল। আর সেগুলোর চিকিৎসা তারা ভারতেই করানো ভালো মনে করেছেন।

বাংলাদেশ সরকার গত বৃহস্পতিবার থেকে স্থলবন্দর দিয়ে বৈধ যাতায়াতে বিধি-নিষেধ শিথিল করেছে।

আরো পড়ুন:

ভারতের সমুদ্র রেখা নিয়ে জাতিসংঘে বাংলাদেশের আপত্তি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *