ডেস্ক নিউজ, সুখবর ডটকম: আলিবাবা গত মঙ্গলবার ঘোষণা দিয়েছে যে, এটি ছয়টি নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিভক্ত হবে এবং প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানই স্বাধীনভাবে পরিচালিত হবে, যার বৃহত্তম অংশীদার হবে আলিবাবা। এই পরিকল্পনার অধীনে টাওবাও টিমল কমার্স গ্রুপ ব্যতীত বাকি সব ইউনিট বহিরাগতদের কাছ থেকে অর্থায়ন লাভে সক্ষম হবে।
আলিবাবার প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা, টবি জু এ ব্যাপারে বলেন যে, জনসাধারণের কাছে উন্মুক্ত হওয়ার পর আলিবাবার এ সংস্থাগুলোর গুরুত্ব উপলব্ধি করা যাবে এবং সে অনুযায়ী তারা সিদ্ধান্ত নিবেন যে আলিবাবা এ সংস্থাগুলোর উপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখবে কি না।
বর্তমানে আলিবাবার রাজস্বের দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসে চীনভিত্তিক ই- কমার্স থেকে। অপরদিকে অন্যান্য পাঁচটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে মোট রাজস্বের প্রায় ৩%-৮% লাভ হয়।
আলিবাবার প্রধান নির্বাহী ড্যানিয়েল ঝাং জানান, পুনর্গঠনের মাধ্যমে আলিবাবা আরো বড় এবং জটিল একটি সংস্থায় পরিণত হয়েছে।
ঝাং জানান, আলিবাবার ব্যবসায়িক পরিসর অত্যন্ত বিস্তৃত। এর পুনর্গঠন অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ছিল, তবে বর্তমান সময়ে এ পুনর্গঠন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়ও বটে। নতুন সাংগঠনিক রূপান্তর ব্যবসাকে আরো বৃদ্ধি করবে এবং নতুন মাত্রা দিবে বলেই তার বিশ্বাস।
বিগত কয়েক বছর ধরেই পুনর্গঠনের চেষ্টা করছিলো আলিবাবা। অবশেষে মার্চে এ ঘোষণা দেওয়ার মুখ্য কারণ হলো এপ্রিল থেকে তারা নতুন অর্থবছরের শুরু করতে যাচ্ছে।
আলিবাবা গ্রুপ ছয়টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রকারী কোম্পানি এবং অংশীদার হিসেবে কাজ করবে। আলিবাবা বোর্ড এই নতুন কোম্পানিগুলোর বোর্ডের উপর তার নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে চলেছে।
আলিবাবার এই পুনর্গঠনকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন অনেকে, যদিও এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব সম্পর্কে বুঝার জন্য পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন হবে।
অপর একটি প্রতিবেদনে, ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি জানায় যে, যদি বাকি ছয়টি প্রতিষ্ঠান স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ লাভ করে তবে তারা আরো দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হবে এবং ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতামূলক চাপের মুখে আরো ভালো কাজ করতে পারবে। তাদের কাজকে আরো উন্নত করতে অংশীদার বেছে নেওয়ারও ক্ষমতা তাদের থাকবে।
তবে বিগত কয়েক বছর ধরে চীন সরকার প্রযুক্তিগত সংস্থাগুলোর সুবিধার্থে কোন পদক্ষেপই গ্রহণ করছে না। এ অবস্থায় এ পুনর্গঠন নিয়ন্ত্রণ ঝুঁকি কমাতে পারে।
২০২১ সালে, চীন আলিবাবাকে তার প্রভাবশালী অবস্থানের অপব্যবহারের দায়ে ১৮২ কোটি ইউয়ান (২৬ কোটি মার্কিন ডলার) জরিমানা করে।
আলিবাবা হংকংকে তার প্রধান বাজারকেন্দ্র করার পরিকল্পনা করছে। পরিকল্পনাটি গত বছরের শেষের দিকে চূড়ান্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছিল। তবে গত নভেম্বরে আলিবাবা জানায় যে, পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে আরো দেরি হবে।
মূলত বাজারের অবস্থা এবং বাহ্যিক পরিস্থিতির মূল্যায়ন করেই যেকোন ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে চাইছে আলিবাবা।
এমএইচডি/ আই. কে. জে/
আরো পড়ুন: