নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: টেলিভিশন শিল্পের জনপ্রিয় এবং গুণী অভিনেতা রওনক হাসান চ্যানেল আই ডিজিটাল মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হলেন। ‘সেফ কিপার চ্যানেল আই ডিজিটাল মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ এ সেরা অভিনয় ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতে নিয়েছেন তিনি। ২৬ ফেব্রুয়ারি চ্যানেল আই ভবনের চেতনা চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে পদক তুলে দেওয়া হয়। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও সনদপত্র তুলে দেন।
এ সময় চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কারপ্রাপ্তরা উপস্থিত ছিলেন। এই আয়োজনে আরো উপস্থিত ছিলেন দেশের মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে জড়িত শিল্পী ও কলাকুশলীরা।
সাম্প্রতিক ‘যে শহরে ভালোবাসা নেই’, ‘লেখকের মৃত্যু’, ‘আড়াই মন স্বপ্ন’ -এর মতো নান্দনিক কাজ নিয়ে আবারও আলোচনায় রওনক হাসান। এছাড়া গত ঈদে তার পরিচালনায় ‘মা’ নাটকটিও নান্দনিক একটি কাজ হিসেবে ব্যাপকভাবে প্রশংসা পায়। তবে গত বছরের অন্যতম নান্দনিক এবং প্রশংসনীয় নাটক ‘হ্যামলেটের ফিরে আসা’ এর মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেছেন যে, সুযোগ পেলে জ্বলে উঠার সামর্থ্য রাখেন রওনক হাসান। সাহিত্য নিয়ে আমাদের দেশে আগে একটা সময় অনেক কাজ টেলিভিশন মিডিয়াতে হলেও এই সময়ে এসে তেমনভাবে হচ্ছে না। তবে শেক্সপিয়ারের ‘হ্যামলেট’ অবলম্বনে এই নাটকে দেশের দুই শক্তিশালী অভিনেতা মোশাররফ করিম এবং রওনক হাসান একে অন্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অভিনয় করেছেন। তার স্বীকৃতিও পেয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, একই নাটকের জন্য গত বছরের সেরা নাট্যকারের পুরস্কার পেয়েছেন আশরাফুজ্জামান।
পুরস্কার প্রাপ্তির পর এক প্রতিক্রিয়ায় অভিনেতা রওনক হাসান বলেন, “ভালোবাসা আশরাফুজ্জামান ও ‘হ্যামলেটের ফিরে আসা’ টিমের প্রতিটি সদস্যকে এবং প্রযোজক ১৯৫২ এন্টারটেইনমেন্ট ও মাছরাঙা চ্যানেলকে। কৃতজ্ঞতা ‘সেফ কিপার চ্যানেল আই ডিজিটাল মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড’ কর্তৃপক্ষ ও জুরিবোর্ডের সম্মানিত সদস্যের। এবং অবশ্যই আমার ও হ্যামলেটের ফিরে আসা নাটকের প্রতিটি দর্শকদের। যারা তাদের উচ্ছ্বাস ও প্রশংসায় আমাকে, আমাদের আপ্লুত করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ও নাটকের পেজগুলোতে ভালোবাসা জানিয়েছেন এবং ভোট করেছেন। ২০২০-এ অনেক দুঃখ ও স্বজন হারানোর বেদনার মাঝে এইটুকু আনন্দ আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। আমি আমার এই প্রাপ্তি ২০২০-এ হারানো আমার পিতাকে, আমার নাট্যগুরু আলী যাকের এবং হ্যামলেটের ফিরে আসা নাটকে আমার সহশিল্পী, অসামান্য অভিনেতা, যিনি না থাকলে এই নাটকে এতটুকু ভালো অভিনয় আমি করতে পারতাম না, সেই মোশাররফ করিম ভাইকে উৎসর্গ করলাম। ভালোবাসা আমার পরিবারের সবাইকে। আর আমার জীবনসঙ্গীনী এন. কে বিধু ও ছেলে রণজয় না থাকলে এসবই মূল্যহীন হতো। জীবন সুন্দর। সবার জন্য ভালোবাসা, কৃতজ্ঞতা।”