রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বরে শনিবার (২৮ অক্টোবর) সমাবেশ হবে বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) দলটির ভারপ্রাপ্ত আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২৮ অক্টোবর জামায়াতের ঘোষিত মহাসমাবেশ সর্বাত্মকভাবে সফল করতে হবে এবং কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করতে হবে। অনির্বাচিত ও অবৈধ সরকার জগদ্দল পাথরের মতো জাতির ঘাড়ে চেপে বসেছে।
‘এই সরকারের পতন ঘটানো ছাড়া জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করা যাবে না। জামায়াতের মহাসমাবেশ বানচাল করার জন্য কোনো কোনো মহলের পক্ষ থেকে নানাভাবে গুজব ও মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি মহলের কোনো প্রকার গুজবে কেউ কান দেবেন না।’
বিবৃতিতে কোনো মানুষকে ভয় না করে শুধুমাত্র আল্লাহকে ভয় করে দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে জামায়াত ঘোষিত মহাসমাবেশে দলে দলে যোগদান করে সর্বাত্মকভাবে সফল করে তোলার জন্য আমি সংগঠনের সকল জনশক্তি এবং দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়।
এদিকে পছন্দের ভেন্যুতেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে ২০ শর্তে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তবে জামায়াতকে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, রাজধানীর নয়াপল্টনে ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশের ঘোষণা দেয় বিএনপি। এরপর একই দিন বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগ এবং শাপলা চত্বরেই সমাবেশের ডাক দেয় জামায়াতে ইসলামী। একই দিনে তিন দলের সমাবেশ ঘিরে জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
পুলিশ বলছে, সংবিধানে যেকোনো রাজনৈতিক দলের শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক আন্দোলন, মিছিল, মিটিং ও সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে পুলিশ নিরাপত্তাও দিয়ে থাকে। কিন্তু কর্মসূচির আড়ালে কেউ সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে।