লাইফস্টাইল ডেস্ক, ধূমকেতু ডটকম: চুল পড়া কি বেড়ে গেছে? আধুনিক সব ট্রিটমেন্টের পরেও চুল পাতলা হয়ে যাচ্ছে? নানা কারণে চুল পড়া বেড়ে যেতে পারে। যেমন ধরুন- পরিবেশ দূষণ, বয়স, স্ট্রেস, স্মোকিং, পুষ্টির অভাব, হরমোনাল ইমব্যালেন্স, জেনেটিক কারণ, স্কাল্প ইনফেকশন, হেয়ার প্রোডাক্টের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার, বেশ কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, থাইরয়েড, অটোইমিউন ডিজিজ, পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম, অ্যানিমিয়া প্রভৃতি।
চুল পড়বে এটা স্বাভাবিক। আমাদের চুল সাধারণত ১ হাজার ১শত ১০ দিন বাঁচে। তারপর ঝরে যায়। আমাদের মাথায় গড়ে ১ লক্ষ চুল আছে। প্রতিদিন কিছু চুল গজায় এবং কিছু চুল পড়ে যায়। এটা স্বাভাবিক। চুল গজানোর চেয়ে যদি ঝরে যায় বেশি তাহলেই যত বিপত্তি।
চুলের সমস্যার মধ্যে বড় অংশই চুল পড়া। যা ছেলে-মেয়ে দুজনের জন্যই কষ্টকর। এ চুল পড়া রোধে দামি দামি ওষুধ ও প্রসাধনী আমরা ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু অনেক সময় এতে কোনো কাজই হয় না। এ চুল পড়া সমস্যায় পেয়ারা পাতার ব্যবহারে পেতে পারেন জাদুকরি সমাধান।
পেয়ারা পাতায় অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান রয়েছে যা মাথার তালু সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এমনকি এটি মাথার খুশকি হওয়া রোধ করে। ভিটামিন-সি মাথার তালুতে ফলিক অ্যাসিডের ভারসাম্য বজায় রেখে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
যা যা লাগবে:
১। এক মুঠো পেয়ারা পাতা
২। ১ লিটার পানি
যেভাবে তৈরি করবেন:
১। একটি পাত্রে পানি জ্বাল দিন। পানি ফুটে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
২। ফুটে এলে এতে পেয়ারা পাতা দিয়ে দিন।
৩। পেয়ারা পাতা দিয়ে ২০ মিনিট জ্বাল দিন।
৪। ২০ মিনিট পর নামিয়ে ফেলুন।
যেভাবে ব্যবহার করবেন:
১। প্রথমে চুল ভালো করে শ্যাম্পু করে নিন; তবে কন্ডিশনার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
২। চুল কিছুটা শুকিয়ে এলে চুল বেণী করে তারপর পেয়ারা পাতার পানি ঢালুন।
৩। পানিটি মাথার তালুতে কমপক্ষে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করুন এবং ২ ঘণ্টা রেখে তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
কতদিন পর পর ব্যবহার করবেন:
যদি চুল পড়া সমস্যা অনেক বেশি থাকে তবে সপ্তাহে তিনবার ব্যবহার করুন। এটি চুল পড়া বন্ধ করবে। আর যদি চুল শাইনি সিল্কি করে তুলতে চান তবে সপ্তাহে দুবার এটি ব্যবহার করুন।