প্রচ্ছদ

চুরির দুই দশক পর উদ্ধার হল ভাস্কর্যের মাথা

ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু বাংলা: কানাডার নিউ বার্নসউইক প্রদেশের একটি সমাধিস্থল। সেখানকার এক সমাধির সামনে ছিল বড়সড় একটি ভাস্কর্য। দুই দশকের বেশি সময় আগে সেখান থেকে ওই ভাস্কর্যের মাথা চুরি হয়ে যায়। কে বা কারা সেটি ভেঙে নিয়ে যায়, সে খোঁজ পাওয়া যায়নি কখনোই। তবে এত বছর পর এসে সেই চুরি হওয়া মাথার সন্ধান মিলেছে। কে বা কারা সেটি ভাঙা ভাস্কর্যের পাশে সেটা রেখে গেছে, তা জানা যায়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ইউনাইটেড প্রেস ইন্টারন্যাশনাল (ইউপিআই) স্থানীয় সময় শুক্রবার ভাস্কর্যটি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, এই ঘটনা কানাডার নিউ বার্নসউইক প্রদেশের হিলসব্রাউট শহরের গ্রে’স আইল্যান্ড সমাধিস্থলের। যে সমাধির পাশে ভাস্কর্যটি নির্মাণ করা হয়েছে, সেটি ১৯০০ সালের। ওই সময় মাত্র ১৫ বছর বয়সে মারা যান জেনি স্টিভস নামের এক কিশোরী। ১৯৩০ সালে মৃত সন্তানের স্মরণে জেনির মা কবরের পাশে ভাস্কর্যটি নির্মাণ করান। এটি ছিল জেনির আবক্ষমূর্তি।

ইতালিয়ান মার্বেল পাথরের এই ভাস্কর্যের সৌন্দর্য সবার নজর কেড়েছিল। স্থানীয় লোকজনের মধ্যে এটি নিয়ে অনেক গালগল্প ছড়িয়েছিল। অনেকে বিশ্বাস করতেন, ভাস্কর্যটির চোখে মূল্যবান রুবি খোদাই করা রয়েছে। জেনির পরিবার জানায়, গত শতকের নব্বইয়ের দশকে কে বা কারা এই ভাস্কর্যের মাথা ভেঙে নিয়ে যায়। ওই সময় পুলিশের কাছে এই বিষয়ে জেনির পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। ভাস্কর্যটির চুরি হওয়া মাথার সন্ধান দিলে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপরও সন্ধান পাওয়া যায়নি। পুরো ঘটনাটি রহস্য হিসেবে রয়ে যায়।

ওই সময় ব্যর্থ হলেও দুই দশকের বেশি সময় পরে এসে ভাস্কর্যটির চুরি হওয়া মাথার সন্ধান পাওয়া গেছে। এটাও কম রহস্যময় ঘটনা নয়। সম্প্রতি কে বা কারা কবরস্থানে জেনির কবরের ভাঙা ভাস্কর্যের পাশে চুরি হয়ে যাওয়া মাথা রেখে গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ঘটনা বেশ সাড়া ফেলেছে।

এখন নিরাপত্তার জন্য ফেরত পাওয়া ভাস্কর্যের মাথাটি জেনির আত্মীয় ক্যাথলিন ওয়ালেসের বাসায় রেখে এসেছে সমাধিস্থল কর্তৃপক্ষ। ক্যাথলিন বলেন, ভাস্কর্যটির ভাঙা মাথা যেমন রহস্যজনকভাবে হারিয়ে গিয়েছিল, ঠিক তেমনি রহস্যজনকভাবে সেটি ফেরত দেওয়া হয়েছে। তবে মাঝে পেরিয়ে গেছে দুই দশকের বেশি সময়।

আরো পড়ুন:

রেকর্ড দামে বিক্রি হল মার্কিন সংবিধানের বিরল মূল অনুলিপি

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *