প্রচ্ছদ

চীন-তাইওয়ানের মধ্যকার সংঘর্ষে উদ্বিগ্ন এশিয়ার অন্যান্য দেশ

ডেস্ক রিপোর্ট, সুখবর ডটকম: সকলেই ধারণা করছে তাইওয়ানের পরিস্থিতি কিছুটা ইউক্রেনের মতোই হতে পারে। কিন্তু এ ধারণার সত্যতা ঠিক কতটুকু। চীন তাইওয়ানকে নিজের দখলে আনতে চাইলেও এ চেষ্টায় বেশিদূর এগোতে পারেনি দেশটি। তবে এটা সত্য যে চীনের প্রধানমন্ত্রী শি জিনপিং ২০২৭ সালের মধ্যে চীনা সামরিক বাহিনীকে সম্পূর্ণরূপে আধুনিক করতে চান।

চীন বিশ্বাস করে তাইওয়ান চীনেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং তাইওয়ানকে নিজেদের দখলে আনার সমস্ত চেষ্টাই করেছে চীন। এতকিছুর পরেও চীনের অফিসিয়াল প্রেস রিলিজে তাইওয়ানের প্রতি ভ্রাতৃত্বের বার্তাই শোনা যায়। তবে চীনের এহেন আচরণ সন্দেহের বীজ বপন করেছে এশিয়ার অন্যান্য দেশের মনে। কয়েক মাস আগ পর্যন্ত যা কল্পনা করা যাচ্ছিল না তা বর্তমানে সত্যি হতে দেখা যাচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তাদের দ্বন্দ্বের অবসান ঘটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল উপস্থিতিকে স্বাগত জানিয়েছে।

ইউক্রেনের পরিস্থিতি উপলব্ধি করে এশিয়ার অন্যান্য দেশ বর্তমানে তাদের অস্ত্র ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করার দিকে মনোযোগ দিয়েছে। এমনকি ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে নতুন উন্নত মানের ক্ষেপণাস্ত্র হিমার্সের চাহিদা ক্রমবর্ধমান। নির্মাতা লকহিড মার্টিন কর্পোরেশনের তথ্য অনুযায়ী, এ অঞ্চলের কমপক্ষে তিনটি দেশ এই ক্ষেপণাস্ত্র ক্রয় করার কথা চিন্তা করছে। সিঙ্গাপুরে এই অস্ত্র আগে থেকেই রয়েছে। তবে অন্যান্য দেশ যদি নিজেদের সশস্ত্র করে তুলে, চীন তবে পালটা আক্রমণ হিসেবে ঘেরাও পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গত ফেব্রুয়ারিতে, রেনমিন ইউনিভার্সিটির প্যাসিফিক ম্যাগাজিন জানায় যে, ইউক্রেনীয় সংকট চীনের চারপাশের উত্তেজনাকে আরো বাড়িয়ে তুলেছে। চীনা বিরোধী আঞ্চলিক জোটকে শক্তিশালী করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে চীন এ বছর সামরিক খাতে খরচের পরিমাণ ৭.২% বৃদ্ধি করেছে।

চীনের সামরিক বাহিনি প্রায় প্রতিদিনই ইউক্রেনের স্যাটেলাইট ছবি এবং তথ্য বিশ্লেষণ করছে। একদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চীন-তাইওয়ান যুদ্ধেরও আভাস দিচ্ছে, আবার অন্যদিকে এ যুদ্ধ চীনকে অবগত করছে তাইওয়ানের সাথে যুদ্ধে জড়ানোর ফল ঠিক কি হতে পারে।

চীন কখনোই প্রকাশ্যে রাশিয়ার সমালোচনা করেনি। চীনের বিশ্লেষকরা বরং যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার ত্রুটি সম্পর্কে সচেতন।

চলমান যুদ্ধে সহায়ক ড্রোনের ব্যবহার সম্পর্কেও অবগত চীন। পিএলএ প্রায় প্রতিদিনই পর্যবেক্ষণ করছে কীভাবে ড্রোন এবং বাণিজ্যিক উপগ্রহ আধুনিক যুদ্ধের নতুন সংজ্ঞা প্রদান করেছে।

আই. কে. জে /

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *