ডেস্ক নিউজ, সুখবর ডটকম: ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, ভারত-চীনকে বিভক্ত করা সীমান্ত রেখা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় সামরিক বাহিনির উপস্থিতি বিদ্যমান থাকবে।
তিনি বলেন, ২০২০ সালের পর থেকে চীনের সাথে ভারতের বিরোধ চলমান। দুই দেশের সীমান্তেও এ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। দুইদেশের মধ্যকার সম্পর্ক বর্তমানে স্বাভাবিক নয় এবং প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় বিশাল সামরিক বাহিনির উপস্থিতি এ সম্পর্ককে স্বাভাবিক করতেও দিবে না।
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চীনা আগ্রাসন সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ২০২০ সালে করোনা চলাকালীন চীন সীমান্তে বিশাল সামরিক বাহিনি নিয়োজিত ছিল। তখন এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে ভারতকেও পাল্টা সামরিক বাহিনি নিয়োগ করতেই হতো এবং এ নিয়ে ভারতীয়দের মনে কোনও ধরনের সংকোচ নেই।
চীনা চ্যালেঞ্জগুলো সঠিকভাবে মোকাবেলা করার জন্যেই ভারতীয় সামরিক বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়। যতক্ষণ না পর্যন্ত ভারতীয় সামরিক বাহিনী সন্তোষজনক কোনও সমাধান পাচ্ছে না, ততক্ষণ পর্যন্ত তারা তাদের অবস্থান বজায় রাখবে।
সীমান্ত সুরক্ষা এবং প্রতিবেশি দেশগুলোর সাথে সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, বেশিরভাগ প্রতিবেশি রাষ্ট্রগুলোর সাথেই ভারতের সম্পর্ক অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ। শুধুমাত্র দুইটি প্রতিবেশি রাষ্ট্রের সাথেই ভারতের সম্পর্ক ততোটা ভালো নয় এবং তা সে সর্বসমক্ষে স্বীকার করে নেয়।
প্রথমত, পাকিস্তানের সাথে ভারতের সাথে সম্পর্ক যে খুব একটা ভালো নয় তা দৃশ্যমান এবং ভারত পাকিস্তানের ব্যাপারে সর্বোচ্চ সহনশীল আচরণই প্রদর্শন করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ভারতকে এবার দৃঢ় হতে হবে, শক্ত হাতে তার প্রতিপক্ষের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।
২০১৪ সালের পর থেকেই ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে। এমনকি জি-২০ তেও ভারত এটা নিশ্চিত করেছে যে, সন্ত্রাসবাদ কোনও ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
এমএইচডি/ আই. কে. জে/
আরো পড়ুন: