নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: চীনা কোম্পানি সিনোভ্যাকের তৈরি করোনা টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল বাংলাদেশে করার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ কথা জানিয়েছেন। আজ আইসিডিডিআর,বি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সবশেষ ২৫ আগস্টের খসড়া তালিকা অনুযায়ী এখন সারা বিশ্বে টিকা বানাতে ১৭৩টি উদ্যোগ চালু আছে। এর মধ্যে এখন ৩১টির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বা মানবদেহে পরীক্ষা চলছে। তার মধ্যে চীনের সিনোভ্যাকের টিকাটিও আছে।

এর আগে গত ১২ আগস্ট স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, চীনের কাছ থেকে করোনাভাইরাসের টিকা কেনা ও বাংলাদেশে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করতে দেওয়া হবে কি না সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, যারা স্বেচ্ছায় করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল বাংলাদেশে করতে আগ্রহী হবে তাদেরকেই অনুমতি দেয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, তবে ডিসেম্বর-জানুয়ারির আগে কোনো ভ্যাকসিন বাজারে আসবে না। করোনার ভ্যাকসিন পেতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে বাংলাদেশ জুলাই মাসে আবেদন করেছে বলেও জানান তিনি।

চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে করোনার সংক্রমণ শুরু হয়েছিল গত ডিসেম্বরে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্থানীয় কার্যালয় নতুন ভাইরাসের বিষয়ে ঘোষণা দেয় ৩১ ডিসেম্বর। ধারণা করা হয়, ভাইরাস প্রতিরোধে চীন শুরু থেকে যেসব উদ্যোগ নিয়েছিল, তার মধ্যে টিকা উদ্ভাবনের প্রচেষ্টাও ছিল।

টিকা ও ওষুধ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষায় মানুষের জন্য টিকা কতটা নিরাপদ, তা দেখা হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষায় টিকা নির্দিষ্ট জীবাণু প্রতিরোধে কতটা কার্যকর, তা দেখা হয়। তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষায় দেখা হয় টিকাটি কতটা নিরাপদ, কতটা কার্যকর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *