চীন থেকে কেনা সিনোফার্মের আরও ৫৪ লাখ এক হাজার ৩৫০ ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাত দুই টার দিকে করোনাভাইরাসের এ টিকার চালান দেশে এসে পৌঁছায়।
এর আগে, শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকায় চীনা দূতাবাসে নিযুক্ত ডেপুটি চিফ অব মিশন হুয়ালং ইয়ান তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে টিকা আসার এ খবর জানান। তিনি বলেন, ‘সিনোফার্ম থেকে কেনা ৫৪ লাখ টিকা শনিবার সকালে ঢাকায় পৌঁছাবে।’
গত ১২ মে প্রথমবারের মতো সিনোফার্মের ৫ লাখ টিকা দেশে আসে। সেই টিকাগুলো চীন সরকার বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দেয়। এরপর ১৯ মে সরকার চীনের সিনোফার্মের তৈরি সার্স-কোভ-টু ভ্যাকসিন সরাসরি ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দেয়। এরপর কয়েক ধাপে চীন থেকে কেনা এবং উপহারের টিকা আসে।
এদিকে, আগামী সপ্তাহে আরও টিকা আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. ছামসুল হক। তিনি বলেন, ‘বেক্সিমকো থেকে দ্রুতই এসব টিকা দেশের সব প্রান্তে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’
অন্যদিকে, শুক্রবার টিকার বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আমাদের টিকা দেওয়ার সক্ষমতা অনেক। আপনারা জানেন যে প্রায় একদিনেই আমরা ৩৪ লাখ টিকা দিয়েছি। এছাড়া আমরা বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) কোভ্যাক্সের আওতায় ১৮ লাখ টিকা পেয়েছি। এর আগে ১০ লাখ পেয়েছি। এ মাসে আমরা আশা করছি যে চীন থেকে ২ কোটি টিকা পাব এবং এ বিষয়টি আপনাদের আগেই জানিয়েছি এবং টিকা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের কার্যক্রম আরও বেগবান হবে।
গণটিকা কার্যক্রম আবারও চালু করার কোনো পরিকল্পনা আছে কি না-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া আমরা প্রত্যেক সপ্তাহে টিকা পাওয়ার একটা শিডিউল পেয়েছি। এখন থেকে যেমন আজকে ১০ তারিখ চীন থেকে ৫০ লাখ টিকা পাওয়ার সিডিউল পেয়েছি। এভাবে এই মাসেই চারটা সিডিউল অনুযায়ী চলে আসলে আমাদের কার্যক্রম চলতে থাকবে এবং প্রত্যেক মাসেই প্রতি সপ্তাহে ৫০ লাখ টিকা আসবে আগামী নভেম্বর পর্যন্ত।
মন্ত্রী আরও বলেন, কোভাক্স থেকে টিকা আসছে সেটাও যোগ হয়ে যাবে। আপনারা জানেন আমরা কোভ্যাক্সের সাড়ে ১০ কোটি টিকার অর্ডার দিয়েছি যেটা অক্টোবর-নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে আসার কথা। তারা যদি সিডিউল অনুযায়ী আমাদের টিকা দেয় তাহলে আমাদের ঠিকা দেওয়ার হার আরও বাড়বে। তাই এ বছরসহ আগামী বছরের কয়েক মাস টিকা কার্যক্রম চলমান থাকবে। অর্থাৎ আমাদের হাতে যতক্ষণ টিকা থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত টিকা কার্যক্রম চলমান থাকবে, থামবে না।
ফাইজারের টিকা দেওয়া আবার শুরু হবে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ফাইজারের টিকা দেওয়া আমরা শুরু করব। যেভাবে নরমালি অন্যান্য টিকা দেওয়া হচ্ছে ফাইজারের টিকাও সেভাবে দেওয়া হবে। যেখানে যেখানে দেওয়া সম্ভব সেখানেই দেব। কেননা ফাইজারের টিকার তাপমাত্রার একটা বিষয় আছে। মাইনাস ৭২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে এই টিকা রাখতে হয়। তাই যেসব জায়গায় রাখা সম্ভব সেসব জায়গায় আমরা রাখি এবং সেখান থেকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করব।
/জেড এইচ