প্রচ্ছদ

চীনা সেনাবাহিনীর সঙ্গে বাইডেন প্রশাসনের প্রথম আলাপ

ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু ডটকম: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর দেশটির প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন প্রথমবারের মতো চীনের সেনাবাহিনীর সঙ্গে কথা বলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে শুক্রবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

সম্প্রতি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যে উত্তেজনা চলছে তা প্রশমনের লক্ষ্যে পেন্টাগনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা চীনের সেনাবাহিনীর সঙ্গে প্রথম কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। চীনের সঙ্গে শত্রুতাকে শতাব্দীর সবচেয়ে বড় ভূ-রাজনৈতিক পরীক্ষা হিসেবে বিবেচনা করছে ওয়াশিংটন। ফলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোয় মার্কিন প্রশাসনের একের পর এক প্রভাবশালী ব্যক্তি সফর করছেন। সম্প্রতি সফর শেষ করলেন দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস।

বিশ্বে অর্থনীতিতে শক্তিশালী দুটি দেশের বাণিজ্য যুদ্ধের পাশাপাশি দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের আগ্রাসন, চীনের মানাধিকার লঙ্ঘন এবং তাইওয়ানকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা এসব ইস্যু নিয়ে সম্পর্কের অবনতি তলানিতে ঠেকেছে। এর মাঝেই জানা গেল এ আলোচনার কথা।

ধারণা করা হচ্ছে, চীনের সঙ্গে যে কোনও ইস্যু নিয়ে কথা বলার পথ পরিষ্কার রাখতে চায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের ওই কর্মকর্তা জানান, কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে এ কথোপকথন হয়েছে। দু’পক্ষই দেশটির সেনাবাহিনীর মধ্যে সুসর্ম্পক ও যোগাযোগ বজায় রাখা ও আলোচনার পথ খোলা রাখতে চায়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন কথা বলেছেন অপর পক্ষের সঙ্গে, এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে যদিও।

যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস বৃহস্পতিবার বলেন, আমরা প্রতিযোগিতাকে স্বাগত জানাই, কোনো দ্বন্দ্বে জড়াতে চাই না, তবে দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে আমরা সতর্ক রয়েছি। তিনি আরও বলেন, ইস্যুটি নিয়ে আমাদের কথা বলতে হচ্ছে কারণ বেইজিং সেখানে আধিপত্য বিস্তার করছে।

চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের ওপর নির্যাতন এবং হংকং ইস্যুতে আগে থেকেই সোচ্চার বাইডেন প্রশাসন। যদিও ধারণা করা হচ্ছে, আধিপত্য বিস্তারে অর্থনৈতিক বিনিয়োগের সুযোগ এবং পররাষ্ট্র নীতিকে সুকৌশলে কাজে লাগাচ্ছে চীন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *