শিল্প ও বাণিজ্য

চিনি রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে ভারত

বিদেশে চিনি রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে ভারত। আগামী অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া নতুন মৌসুম থেকে চিনি মিলগুলোকে রপ্তানি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। অভ্যন্তরীণ বাজারে স্থিতিশীলতার জন্য এমন পদক্ষেপ ভারত নিতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।  বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বার্তাসংস্থা রয়টার্স ভারত সরকারের বেশ কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

এদিকে এ খবর জানার পর বাংলাদেশের বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজার স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ সরকারকে এখনই চিনির বিকল্প উৎসের সন্ধান করতে হবে এবং সেখান থেকে আমদানি শুরু করতে হবে। নইলে দেশের কথিত সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা এর সুযোগ নেবে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী অক্টোবর থেকে ভারতে চিনির নতুন মৌসুম শুরু হতে চলেছে এবং সেই সময় থেকেই মিলগুলোর ওপর চিনি রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে বলে দেশটির তিনটি সরকারি সূত্র জানিয়েছে। বিশ্ববাজারে ভারতের চিনির ঘাটতি এই পণ্যের দাম আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।

ভারতের একটি সরকারি সূত্র  বলেছে, ‘প্রাথমিকভাবে আমাদের মনোযোগের বিষয় হচ্ছে- স্থানীয় চিনির চাহিদা পূরণ করা এবং উদ্বৃত্ত আখ থেকে ইথানল তৈরি করা। আসন্ন মৌসুমে রফতানি কোটার জন্য জন্য আমাদের কাছে পর্যাপ্ত চিনি থাকবে না। ’

গত মৌসুমে রেকর্ড এক কোটি ১১ লাখ টন চিনি রপ্তানি করেছিল ভারত। সেখানে চলতি মৌসুমের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মিলগুলোকে মাত্র ৬১ লাখ টন চিনি রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়।

এর আগে, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় বাংলাদেশে কেজিতে পেঁয়াজের দাম এক লাফে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজ সেঞ্চুরি করেছে। ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ভালো মানের পেঁয়াজ। চিনির দাম এমনিতেই অস্বাভাবিক বেড়েছে। এই সুযোগে ব্যবসায়ীরা যেন চিনির দাম অসহনীয় পর্যায়ে নিয়ে যেতে না পারে সে বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কঠোর নজর রাখতে হবে এবং বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হবে- এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকরা।

ইব্রাহীম খলিল জুয়েল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *