স্বাস্থ্য

চিকিৎসকদের প্রতি অনুরোধ, রোগীদের অযথা পরীক্ষা দেবেন না : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে রোগীদের দিয়ে প্রয়োজনের অতিরিক্ত টেস্ট-পরীক্ষা করানো হচ্ছে। এতে রোগীদের খরচ বাড়ছে। তাই চিকিৎসকদের প্রতি অনুরোধ, রোগীদের অযথা পরীক্ষা দেবেন না।

রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রোববার (২১ নভেম্বর) এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আমাদের হাসপাতালগুলোতে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। স্বাস্থ্যসেবায় ৬০ ভাগ টাকা রোগীর পকেট থেকে খরচ করতে হচ্ছে। এর মধ্যে ওষুধের খরচই বেশি।

জাহিদ মালেক বলেন, দেশে সরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগীরা বিনামূল্যে সেবা পান। তবুও দেশ থেকে অনেকেই বিদেশে চিকিৎসার জন্য যান। সেক্ষেত্রে দেশের তুলনায় ১০ গুণ বেশি খরচ হয়।

তিনি বলেন, দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা এখন অনেক ভালো। হার্টের বাইপাস অপারেশন কোনো না কোনো হাসপাতালে হচ্ছে। কিডনি ডায়ালাইসিসের ব্যবস্থা হচ্ছে। তবে, আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা আরও উন্নত হওয়া দরকার। ক্যানসার, কিডনি ও হার্টের চিকিৎসায় আরও উন্নতি দরকার।

আট বিভাগে বিশেষায়িত হাসপাতাল তৈরির উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। এগুলোতে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ক্যানসার, কিডনি ও হার্টের চিকিৎসা দেওয়া হবে। এসব হাসপাতালে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হলে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে হবে না।

দেশের হাসপাতালগুলোতে খরচ আরও কমানো যেতে পারে উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের হাসপাতালগুলোতে যে পরিমাণ রিসোর্স থাকুক না কেন, ফান্ডিং, মেশিনারিজসহ পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির সঠিক ব্যবহার যদি হয় তাহলে মনে করি খরচ অনেকাংশেই কমে আসবে।

তিনি আরও বলেন, প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যয় একটু বেশি। চিকিৎসার পাশাপাশি ওষুধের দামও সেখানে বেশি হয়ে থাকে। এ বিষয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, আলোচনা করেছি। পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ সার্বিক খরচ আলোচনার মাধ্যমে একটি সহনশীল পর্যায়ে আনা যায় কি না আমরা আলোচনা করেছি এবং পদক্ষেপ নিয়েছি।

এসময় অনুষ্ঠানে একটি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহাদৎ হোসেন মাহমুদ। প্রবন্ধে তিনি জানান, দেশের সরকারি হাসপাতালগুলো থেকে মাত্র তিন শতাংশ রোগী ওষুধ এবং ১৪.৯ শতাংশ রোগী পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেবা পেয়ে থাকেন। আর বাকি সবাইকে বাইরের ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনতে হয় এবং ডায়াগনস্টিক ল্যাব থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয়। ফলে রোগীদের ব্যয় বেড়ে যায় ও তারা আর্থিক সমস্যার সম্মুখিন হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু প্রমুখ।

আরো পড়ুন:

বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ৩২ লাখের বেশি যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *