ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু বাংলা: প্রযুক্তির কল্যাণে গাড়ি এরই মধ্যে নিজেকে পার্ক করা ও তন্দ্রাচ্ছন্ন চালকদের সতর্ক করা শিখে গেছে। পাশাপাশি সঠিক লেনে ফিরে যাওয়া এবং গন্তব্যে যাওয়ার সহজ রুটও বলে দেয় বর্তমান প্রযুক্তির গাড়িগুলো। স্বচালিত প্রযুক্তি গাড়ির এ কাজগুলো করে দিচ্ছে। তবে আরো নতুন প্রযুক্তির গাড়ি নিয়ে আসছে মাজদা। জাপানি গাড়ি নির্মাতা সংস্থাটির গাড়িগুলো চালকের হঠাৎ স্বাস্থ্যগত সমস্যায় নিরাপদভাবে থেমে যেতে পারবে।
এপির খবর অনুযায়ী, আগামী বছর বাজারে আসতে যাওয়া এ গাড়িগুলো কখন চালকদের স্ট্রোক কিংবা হার্ট অ্যাটাক হয় তা শনাক্ত করতে কাজ করছে। মাজদার মতে, ২০২৫ সালের মধ্যে গাড়িগুলো চালকদের হঠাৎ স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে আগাম বার্তা এবং সতর্কও করতে পারবে।
লেজার সেন্সর কিংবা অন্যান্য আরো নিত্যনতুন প্রযুক্তি ছাড়াই গাড়ির ভেতরে থাকা ক্যামেরার মাধ্যমে চালকের অসুস্থতার বিষয়টি শনাক্তের চেষ্টা চলছে। আর এ সুবিধা কেবল বিলাসবহুল নয়, সাশ্রয়ী মূল্যের মডেলগুলোতেও দেয়া হবে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, এ ব্যবস্থা তৈরিতে সংস্থাটি সুকুবা ইউনিভার্সিটি হসপিটালসহ চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কাজ করছে। সংগৃহীত চিত্রের ডাটা নিয়ে একজন সুস্থ চালকের সঙ্গে অসুস্থ চালকের পার্থক্য পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কোনো একটি সমস্যা শনাক্ত করার পর গাড়িটির ‘কো-পাইলট কনসেপ্ট’ একটি নিরাপদ স্থানে গাড়িটিকে থামিয়ে দেবে।
মাজদার মতে, এমন পরিস্থিতিতে ব্লিংকার ও হ্যাজার্ড লাইট ফ্ল্যাশ করার সঙ্গে গাড়িটি হর্নও দেবে। যদিও সতর্কতা সংকেতগুলো এখনো নিশ্চিত নয়। পাশাপাশি গাড়িটি অ্যাম্বুলেস ও পুলিশকে জরুরি কল দেবে।
জার্মানির ফক্সওয়াগন ও জাপানের টয়োটা মোটরসহ প্রতিদ্বন্দ্বী অন্যান্য বড় গাড়ি নির্মাতা সংস্থাগুলোও একই প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে।
আরো পড়ুন:
তার ছাড়াই বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি ১০ মিনিটে ৮০% চার্জড!