প্রচ্ছদ

চাকরির আবেদন ফি বেঁধে দিল সরকার

টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন ও পরীক্ষার ফি গ্রহণ করা যাবে এবং পরীক্ষার ফি বাবদ সংগৃহীত অর্থের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কমিশন হিসেবে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডকে প্রদান করা যাবে।

টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের পরীক্ষার ফি বাবদ অর্থ গ্রহণের পরবর্তী তিন কর্ম দিবসের মধ্যে ব্যাংক চেকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে জমা প্রদানের পর উক্ত প্রতিষ্ঠান অবিলম্বে চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা দেবে। তবে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে উক্ত অর্থ নিজস্ব ব্যাংক হিসাবে জমা করতে পারবে।

অনলাইন আবেদন গ্রহণ না করা হলে পরীক্ষার ফি বাবদ অর্থ চালানের মাধ্যমে গ্রহণ করতে হবে। তবে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ব্যাংক ড্রাফট/ পে-অর্ডারের মাধ্যমে এ অর্থ গ্রহণ করতে পারবে।

আরও পড়ুন

পরীক্ষার ফি বাবদ আদায়কৃত অর্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ‘১৩ ডিজিট প্রাতিষ্ঠানিক কোড’ এবং ‘o৭ ডিজিট নতুন অর্থনৈতিক কোড ১৪২২৩২৬’–এ অটোমেটেড চালানে সরকারি কোষাগারে জমা করতে হবে।

কোনো প্রতিষ্ঠান ম্যানুয়াল চালানে (টিআর ফরম) পরীক্ষার ফি জমা করতে চাইলে প্রাতিষ্ঠানিক কোড (চার অঙ্কবিশিষ্ট), পরিচালনা কোড (চার অঙ্কবিশিষ্ট), অর্থনৈতিক কোড (২০৩১) এ জমা করতে হবে।

৯ম গ্রেড বা এর বেশি গ্রেডভুক্ত (নন–ক্যাডার) পদে আবেদন ফি ৬০০ টাকা, ১০ম গ্রেডের পদে আবেদন ফি ৫০০ টাকা, ১১ থেকে ১২তম গ্রেডের জন্য ৩০০ টাকা, ১৩ থেকে ১৬তম গ্রেডের জন্য ২০০ টাকা এবং ১৭ থেকে ২০তম গ্রেডের জন্য ১০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, অনেক প্রতিষ্ঠানে ৯ম গ্রেডের পদের জন্য ১০০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা আবেদন ফি নিয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠানগুলো খেয়ালখুশিমতো আবেদন ফি নেওয়ায় চাকরিপ্রত্যাশীরা আবেদনের খরচ জোগাতে হিমশিম খান। এ নিয়ে গত এপ্রিলে প্রথম আলোতে ‘তরুণদের কাঁধে খরচের বোঝা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. গোলাম মোস্তফা প্রথম আলোকে বলেন, এটা ঠিক আবেদন ফি বাড়ানো নয়। সমন্বয় করা হয়েছে। আগে নবম ও দশম গ্রেডের আবেদন ফি একসঙ্গে ৫০০ টাকা ছিল। এখন সেটি আলাদা নবম গ্রেডের ক্ষেত্রে ৬০০ টাকা এবং দশম গ্রেডের ক্ষেত্রে ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, চাকরির আবেদন ফি সরকারের আয়ের উৎস নয়। আবেদন ফি নেওয়ার ক্ষেত্রে সব প্রতিষ্ঠানকে একটা কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসা আমাদের লক্ষ্য। প্রজ্ঞাপনে যেসব প্রতিষ্ঠানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তারা যেন এটা মানে সে ব্যবস্থা করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *