তথ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

চাঁদে দিনভর থাকে পানি, চন্দ্রযান থেকে মিলেছে তথ্য: নাসা

ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু ডটকম: আমেরিকার বিজ্ঞানীরা এক নতুন তথ্য জানাচ্ছেন। তাঁদের বক্তব্য, চাঁদের গর্ত যেগুলিকে ক্রেটার্স বলা হয়, সেখানে সারাদিন থাকে বরফ বা বরফগলা পানি। এর কারণও ব্যখ্যা করেছেন তাঁরা। তাঁদের মতে, ওই গর্তগুলো এমনভাবে রয়েছে, যার ছায়ার কারণে চাঁদের পৃষ্ঠে অন্ধকার জায়গায় বেশ ঠান্ডা থাকে। তার মানে দাঁড়াচ্ছে, চাঁদের গর্তে কখনও সূর্যের আলো পৌঁছায় না।

এই ঘটনা বড় পাথরের নীচে তৈরি হওয়া ছায়ার ক্ষেত্রেও একই। এমনই জানাচ্ছেন তাঁরা। দেখে নেওয়া যাক আর কী কী জানাচ্ছেন তাঁরা।

এর আগে নাসার বিজ্ঞানীরা মনে করতেন, রাতে চাঁদের পৃষ্ঠে হালকা বরফের স্তর তৈরি হত। আর তা সূর্যের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে সরে যেত। নাসার জেট প্রপেলেশন পরীক্ষাগারের বিজ্ঞানী জার্ন ডেভিডসন জানান, এক দশক আগে ইসরোর চন্দ্রযান-১ চাঁদের দিনের অংশে পানি থাকতে পারে, সেই সঙ্কেত দিয়েছিল।

জার্ন ডেভিডস আরও বলেন, চন্দ্রযান-১ এবং আরও কয়েকটি ওই জাতীয় যন্ত্র পানি থাকার কথা জানিয়েছে। তবে চাঁদের পরিবেশ পানির  থাকা খুবই মুশকিল। আর তাই আমাদের খোঁজ চলছে। আমরা এ ব্যাপারে আরও তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করছি।

তিনি আরও বলে, সেখানে কী করে পানি থাকতে পারে, তা নিয়ে দেখছি। এটা তো জানতে পেরেছে বরফের পানি জমা হয়ে রয়েছে।

তিনি বলেন, পানি জমলে বাতাস ছাড়া পরিবেশেও তা থাকতে পারে। যেমন বলা যেতে পারে, পাথরের ছায়ার নীচে। বা বলা যেতে পারে চাঁদের গর্তের সেই অংশেষ যেখানে কখনই সূর্যের আলো প্রবেশ করতে পারে না।

জার্ন ডেভিডসন এবং সোনা হুসেনি মিলে এক নতুন গবেষণাপত্র লিখেছেন। ঘটনা হল চাঁদের পৃষ্ঠ বেশ পাথুরে এবং এবড়োখেবড়ো প্রকৃতির হয়। আর এই কারণে সূর্যের আলো দিনের বেলায় অনেক জায়গায় পৌঁছতে পারে না।

আর তাই একটা সম্ভাবনার কথা জানাচ্ছেন তাঁরা। বলছেন, পাথর আর ছায়ার মধ্যে বরফ জমা পানি থাকতে পারে।

অন্যদিকে, সূর্য মেরু অঞ্চলে অর্থাৎ সুমেরু এবং কুমেরু অঞ্চলে বেশ ঠান্ডা থাকে। সেখানে এই কাজ খুব সহজে দেখা যেতে পারে। আর এই কারণে সেখানে বায়ুমণ্ডলের উপস্থিতিও চোখে পড়ে। তাঁরা চাঁদের পৃষ্ঠের ব্যাপারে আগেও বেশ খোঁজখবর করেছেন। তবে নয়া এই বিষয়টি ‘পানি’ থাকার বিষয়ে আরও নিশ্চিতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *