শিল্প ও বাণিজ্য

চাঁদপুরে বেড়েছে ইলিশের আমদানি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: চাঁদপুরে বেড়েছে ইলিশের আমদানি। দেশের ইলিশের সবচেয়ে বড় বাজার চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছঘাটে সোমবার প্রায় এক হাজার মন ইলিশ উঠে। তবে এই ইলিশের মধ্যে মাত্র একশ মণ চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার। বাকি সবই হাতিয়া, সন্দ্বীপসহ সাগর অঞ্চলের মাছ। মাছের আমদানি বাড়ায় দামও কিছুটা কমতে শুরু করেছে। এতে করে কর্মচাঞ্চল্যতা ফিরেছে জেলে, ঘাটের শ্রমিক, আড়তদার ও ব্যবসায়ীদের মাঝে।

চাঁদপুর বড় স্টেশনের আড়ৎদার ইমান হোসেন গাজী বলেন, ‘গত পাঁচ দিন ধরেই মাছের আমদানি বাড়তির দিকে। গত সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে বড় স্টেশন মাছের আমদানি হয় প্রায় ৫শ মণ। আর চলতি সপ্তাহের শুরু থেকেই মাছের আমদানি বেড়ে প্রায় এক হাজার মনে উন্নীত হয়েছে। এসব ইলিশের বেশির ভাগই সাগরের। চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার ইলিশের আমদানি কম।’

তিনি জানান, ৪শ’ থেকে ৭শ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি মণ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১৯ হাজার টাকা। যা দু’ দিন আগে ছিল ২৬ হাজার থেকে ২৭ হাজার টাকা।  আর ৮শ’ থেকে ৯শ’গ্রামের ইলিশ বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩০ হাজার টাকা মণ। আর এক কেজি থেকে ১২শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৩৬ হাজার টাকা প্রতি মণ। তবে চাঁদপুরের নদী অঞ্চলের মাছের দাম সব সময়ই একটু বেশি থাকে।

তবে ক্রেতা সমাগম কম হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘লকডাউনের কারণে বেচাকেনা কিছুটা কম। বিভিন্ন স্থান থেকে আগে বিপুল পরিমাণ যে খুচরা ক্রেতা আসতো সেই ক্রেতা এখন নেই। তবে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যারা মাছ বিক্রি করেন তারাই এখন পাইকারি মাছ কিনে নিচ্ছেন। খুচরা ক্রেতা থাকলে ইলিশের দাম আরও ভালো পাওয়া যেত।’

বড় স্টেশনের মৎস্য ব্যবসায়ী সাগর হোসেন বলেন, ‘চলতি সপ্তাহে বাজারে মাছের আমদানি কিছুটা বেড়েছে। বর্তমানে বাজারে গড়ে প্রতিদিন ৯শ’থেকে হাজার মণ ইলিশ আমদানি হচ্ছে। এসব মাছের বেশির ভাগই হাতিয়া, সন্দ্বীপ অঞ্চলের। মাঝেমধ্যে আবার আমদানি কমেও যাচ্ছে। আশা করি, সামনে ইলিশের আমদানি আরও বাড়বে। তখন দামও আরও কমবে।’

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, ‘এবার বৃষ্টি দেরিতে শুরু হয়েছে। ইলিশ মাইগ্রেশনের ক্ষেত্রে বৃষ্টি একটা বড় ফ্যাক্টর। নদীতে পানিপ্রবাহ কম। এসব কারণে মাছ মাইগ্রেট করছে না।’

তিনি বলেন, ‘উপকূলীয় কয়েকটি জেলায় কম্বিং অপারেশন চলছে। এটি চলবে ২৩ জুলাই পর্যন্ত। এ কারণে ওইসব এলাকায় ইলিশ ধরতে পারছেন না জেলেরা। আশা করি, এরপর থেকে বাজারে প্রচুর ইলিশ আসবে। এছাড়া চাঁদপুর অঞ্চলে মাছ আসতে কিছুটা সময় লাগে। এখানেও দ্রুতই প্রচুর পরিমাণ ইলিশ পাওয়া যাবে।’

তিনি জানান, গত বছর শুধু চাঁদপুরের বাজারগুলোতেই ইলিশ উঠেছিল ৪৮ হাজার ৩২৫ মেট্রিক টন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *