নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: সারা দেশে চড়া সুদে ঋণদাতা মহাজনদের চিহ্নিত করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি জাকির হোসেন সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আগামী সপ্তাহে এই রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।
এর আগে ‘চড়া সুদে ঋণের জালে কৃষকেরা’ শিরোনামে গত ২৮ আগস্ট জাতীয় একটি পত্রিকাতে প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রতিবেদনটি যুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক আজ মঙ্গলবার জনস্বার্থে রিট আবেদনটি করেন। এতে মহাজনদের উচ্চহারে অনানুষ্ঠানিক ঋণ প্রদান নিষিদ্ধে প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।
পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর তিন দফা বন্যায় গাইবান্ধার কৃষকেরা মারাত্মক ক্ষতিতে পড়েন। ক্ষতিগ্রস্ত অনেক কৃষক এলাকার মহাজন ও বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছেন। এক বছর পরও তারা ঋণের জাল থেকে বের হতে পারেননি।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা চড়া সুদে অনানুষ্ঠানিকভাবে মহাজনদের ঋণ দেওয়া রোধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা/ ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ব–বহির্ভূত ঘোষণা এবং সারা দেশে চড়া সুদে ঋণ বিতরণ কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা আরোপের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, সে বিষয়েও রুল চাওয়া হয়েছে রিটে। রুল হলে তা বিচারাধীন অবস্থায় চড়া সুদে ঋণদাতা সব মহাজনকে চিহ্নিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।
রিটে অর্থসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ ১৩৬ ব্যক্তিকে বিবাদী করা হয়েছে।
পরে আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক বলেন, সমবায় সমিতি, ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্প ও ব্যক্তিগত ঋণ দেওয়ার নামে একশ্রেণির লোক চড়া সুদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের আনুষ্ঠানিক কোনো নিবন্ধনও নেই। যারা এসব করছে, তারা দুষ্টচক্র। স্থানীয় পর্যায়ে সাধারণ লোকজন এসব মহাজনের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ছেন। অনেকে সুদের কিস্তি দিতে দিতে নিঃস্ব হয়ে পড়ছেন। জনগোষ্ঠীর বড় একটি অংশকে ঋণের জালে রেখে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখা যায় না। যে কারণে উচ্চহারে অনানুষ্ঠানিক ঋণ প্রদানে সম্পৃক্তদের চিহ্নিত করতে এবং উচ্চহারে অনানুষ্ঠানিক ঋণ নিষিদ্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়।
আরো পড়ুন: