নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে চট্টগ্রামের ৬০ গ্রামে মঙ্গলবার (২০ জুলাই) উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। সকালে ঈদের নামাজ শেষে এসব গ্রামে পশু কোরবানি করা হবে।
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার জাহাঁগিরিয়া শাহ্সুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফ ও সাতকানিয়ার মির্জাখিল দরবার শরীফের অনুসারীরা প্রতিবছরের মতো এবারো ঈদুল আজহার নামাজ আদায় শেষে পশু কোরবানি দিয়ে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে একদিন আগেই ঈদ উৎসব পালন করেন।
সৌদি আরবে হজ পালনের পরের দিন এই দরবারের অনুসারীরা বিগত আড়াইশ বছরের অধিক সময় ধরে ঈদুল আজহা উদযাপন করে আসছেন।
মির্জাখিল দরবার শরীফের অনুসারী সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল, সোনাকানিয়া, গারাঙ্গিয়া, চরতী, বাজালিয়া, ছদাহা, কেওচিয়া ও গাটিয়াডাঙ্গা; লোহাগাড়া উপজেলার কলাউজান, বড়হাতিয়া, পুটিবিলা, চরম্বা ও চুনতি; বাঁশখালী উপজেলার জালিয়াপাড়া, ছনুয়া, মক্ষিরচর, চাম্বল, শেখেরখীল, ডোংরা, তৈলারদ্বীপ ও কালিপুর; পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও, বাহুলী ও ভেল্লাপাড়াসহ ৬০ গ্রামের প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ ঈদ উদযাপন করবেন।
মির্জাখিল দরবার শরীফ পরিচালনা কমিটির সদস্য ও পীরের ছোট ভাই হেলাদুল হাই বলেন, মঙ্গলবার ঈদুল আজহার নামাজ সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। নামাজে ইমামতি করবেন মাওলানা মোহাম্মদ মছউদুর রহমান। যেসব এলাকায় মুরিদ কম তারা মির্জাখীল দরবার শরীফে এসে ঈদের নামাজ আদায় করেন। করোনার সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সীমিত পরিসরে ঈদের নামাজ আদায় করা হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রায় দুই শতাধিক বছর ধরে মির্জাখিল দরবার শরীফের মুরিদরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দেশের অন্যান্য স্থানের একদিন আগে ঈদুল আজহা উদযাপন করেন। একইভাবে রোজা ও ঈদুল ফিতর উদযাপনও সৌদি আরবের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে একদিন আগে হয়ে থাকে।
বোয়লখালী, হাটহাজারী, সন্দ্বীপ, ফটিকছড়ি, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, কক্সবাজার, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়ার বেশ কয়েকটি গ্রামে মির্জাখিল দরবার শরীফের অনুসারী রয়েছে। তারাও মঙ্গলবার ঈদ উদযাপন করবেন।