জাতীয়সর্বশেষ

ঘূর্ণিঝড়ে জন্ম নেওয়া শিশুর নাম রাখা হলো ‘সিত্রাং’

নোয়াখালীতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডব চলাকালে জন্ম নেওয়া এক শিশুর নাম রাখা হলো ‘সিত্রাং’।

রোববার (২৩ অক্টোবর) রাতে হাতিয়া উপজেলার হরণী ইউনিয়নে এ শিশুর জন্ম হয়। পরে বুধবার দুপুরে বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন সিত্রাংয়ের মা ফারজানা আক্তার।

জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে সারা দেশের ন্যায় নোয়াখালীতেও দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টিপাত হয়। এতে বেড়িবাঁধসহ সমস্ত এলাকা পানিতে প্রায় ডুবে গেছে। কোনো রকমে নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে ঘরের চৌকিতে ঠাঁই নেন অন্তঃসত্ত্বা ফারজানা আক্তার (৩৩)। পরে রাতেই প্রসব বেদনা ওঠে তার। বৃষ্টি ও জোয়ারে পানিতে ঘরে মেঝে তখন ডুবে গেছে। চৌকিও ডুবে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি, এমন মুহূর্তে স্থানীয় এক ধাত্রীর সহযোগিতায় কন্যা সন্তানের জন্ম দেন অন্তঃসত্ত্বা ফারজানা। পরে সেই কন্যা সন্তানের নাম রাখা হয়েছে ‘জান্নাতুল ফেরদৌস সিত্রাং’।

ফারজানা হাতিয়ার হরণী ইউনিয়নের বয়ারচর এলাকার মো. শরিফ উদ্দিনের স্ত্রী।

ফারজানা বলেন, আমার স্বামী নদীতে কাজ করেন। তিনি ছাড়া ঘরে আর কোনো পুরুষ নাই। প্রচণ্ড বৃষ্টিতে ঘরের চৌকির ওপরে আশ্রয় নিয়েছি। প্রসব বেদনায় মনে হচ্ছিল আর বাঁচবো না। এক ধাত্রীর সহযোগিতায় আমার কন্যার জন্ম হয়েছে।

ফারজানা আরও বলেন, আমার মেয়ে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের সময় জন্ম নিয়েছে। তাই তার নাম ‘সিত্রাং’ রেখেছি। কোথাও নেটওয়ার্ক নাই, তাই কাউকে সন্তানের কথা জানাতে পারি নাই। তিনটা ছেলের পর রাজকন্যা সিত্রাংয়ের জন্ম হয়েছে।

সিত্রাংয়ের দাদি নুর জাহান বলেন, তুফানের দিন নাতিন হইসে। আমরা ডাক্তারের কাছে নিতে পারি নাই। নরমালে হইসে।

হরণী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আখতার হোসাইন বলেন, খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে তাদের বাড়িতে যেতে বলছি। তিনি বাড়িতে গিয়ে খোঁজ খবর নিয়েছেন। বর্তমানে মা ও শিশু সুস্থ আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *