খেলাধুলা

ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ – এমনটাই ছিল প্রত্যাশা

ক্রীড়া প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: সুপার টুয়েলভপর্বে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটা হাতের মুঠো থেকে ছুটে গিয়েছিল ক্যাচ মিসের ভুলে। তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ, এমন আশায় ছিলেন সমর্থকরা।
সেই আশায় গুঁড়েবালি। জয় তো দূরের কথা, এবার লড়াইটাও করতে পারেনি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। তাদের ৪১ বল আর ৮ উইকেট হাতে রেখে হেসেখেলেই হারিয়েছে ইংল্যান্ড। তাতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে ওঠার স্বপ্ন ধূসর হয়ে গেলো টাইগারদের।
১২৫ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মারমুখী শুরু করেন ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার জস বাটলার আর জেসন রয়। ২৮ বলেই তারা তুলে ফেলেন ৩৯ রান। ঝড়ো এই জুটিটি শেষ পর্যন্ত ভাঙেন নাসুম আহমেদ। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বল হাতে নিয়েই উইকেটের দেখা পান বাঁহাতি এই স্পিনার।

নাসুমকে তুলে মারতে গিয়ে লংঅফে নাইম শেখের ক্যাচ হন জস বাটলার (১৮ বলে ১৮)। ওই পর্যন্তই। পরের জুটিই ম্যাচ বের করে নিয়ে আসে বাংলাদেশের হাত থেকে।

দ্বিতীয় উইকেটে ৪৮ বলে ৭৩ রান যোগ করেন জেসন রয় আর ডেভিড মালান। ৩৩ বলে ফিফটি পূরণ করেন রয়। শেষ পর্যন্ত ১৩তম ওভারে এসে আউট হন ইংলিশ ওপেনার। ৩৮ বলে ৫ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ৬১ রান করে থার্ডম্যানে নাসুমের ক্যাচ হন রয়।

তবে তখন ৪৩ বলে মাত্র ১৩ রান দরকার ইংল্যান্ডের। সেই পথটুকু অনায়াসেই পাড়ি দিয়েছেন ডেভিড মালান আর জনি বেয়ারস্টো। মালান ২৫ বলে ২৮ আর বেয়ারস্টো ৪ বলে ৮ রানে অপরাজিত থাকেন।

এর আগে ৯ উইকেটে ১২৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল বাংলাদেশ। সুপার টুয়েলভের এই লড়াইয়ে টসভাগ্য সহায় ছিল টাইগারদের। প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

আবুধাবিতে বেশ ইতিবাচকই দেখা যাচ্ছিল দুই ওপেনার নাইম শেখ আর লিটন দাসকে। লিটন তো প্রথম ওভারেরই শেষ দুই বলে দুটি বাউন্ডারি হাঁকান।

কিন্তু সেই শুরুটা বেশিদূর এগোতে পারেনি। মঈন আলির করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ক্যাচ হন লিটন (৮ বলে ৯)। পরের বলে তুলে মারতে গিয়ে মিডঅনে তুলে দেন নাইমও (৭ বলে ৫)। ১৪ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে ভীষণ চাপে পড়ে বাংলাদেশ।

সেই চাপ আরও বাড়িয়েছেন অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসান (৭ বলে ৪) অদূরদর্শী শট খেলে। ক্রিস ওকসের বলে শর্ট ফাইন লেগে তুলে দেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার, দারুণ এক ক্যাচ নেন আদিল রশিদ।

২৬ রানে ৩ ব্যাটসম্যান সাজঘরে। সেখান থেকে দলকে অনেকটা সময় ভরসা দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

অভিজ্ঞ যুগলের ব্যাটে চড়ে যখন ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল টাইগাররা, তখনই ভুল করে বসেন মুশফিক। পছন্দের শট রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে একবার ক্যাচ হওয়া থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন।

কিন্তু ওই রিভার্স সুইপের লোভ সামলাতে পারেননি তারপরও। লিয়াম লিভিংস্টোনের ঘূর্ণি মিস করে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন মুশফিক (৩০ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ২৯)। তাতেই ভাঙে ৩২ বলে ৩৭ রানের আশা জাগানিয়া জুটিটি।

এরপর আফিফ হোসেন (৬ বলে ৫) রানআউটের কবলে পড়েন। মাহমুদউল্লাহ (২৪ বলে ১৯), শেখ মেহেদি হাসান (১০ বলে ১১) সেই ব্যর্থদের কাতারেই নাম লেখান।

শেষদিকে নাসুম আহমেদের ৯ বলে ১ চার আর ২ ছক্কায় গড়া ১৯ রানের ইনিংস আর নুরুল হাসান সোহানের ১৮ বলে ১৬ রানে ভর করে ১২৪ রানে থামে বাংলাদেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *