রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে জানানা হয়,ঘাড়ের কালচেভাব এই সমস্যা ‘আকান্থসিস নিগ্রিকানস’ নামে পরিচিত।
বয়স বৃদ্ধি এবং রোদের তাপ— এই দুই কারণেই সাধারণত ত্বকের রং কালচে হয়ে যায়। তাছাড়া জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল সেবন, গর্ভাবস্থা, হরমোনের সমস্যা, রোদপোড়া ইত্যাদি কারণে ঘাড়ের ত্বকের রং কালচে হয়ে যেতে পারে।
এছাড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না থাকা, সানব্লক ব্যবহার না করা ইত্যাদি কারণেও কালচে দাগ হয়।
রূপচর্চাবিষয়ক এই ওয়েবসাইটে ঘরোয়া উপায়ে ঘাড়ের কালো দাগ দূর করার কিছু উপায় তুলে ধরা হয়।
ঘাড়ের কালচেভাব দূর করতে চাইলে-
লেবু
ত্বকের রং উজ্জ্বল করতে লেবুর জুড়ি নেই। লেবুতে রয়েছে প্রাকৃতিক ব্লিচিং উপাদান যা ত্বকের রং উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। কয়েকদিন নিয়মিত ব্যবহারে লেবুর সিট্রিক অ্যাসিড ঘাড়ের কালচেভাব দূর করতে সাহায্য করে।
এক টুকরা লেবু নিয়ে তা ঘাড়ে ঘষলে উপকার পাওয়া যায়। তবে লেবু ব্যবহারের পর রোদের সংস্পর্শে যাওয়া উচিত নয়। এতে ত্বকে অস্বস্তি অনুভূত হতে পারে।
ওটস
প্রাকৃতিকভাবে ত্বক এক্সফলিয়েট করতে সাহায্য করে ওটস। তাই কালো ঘাড়ের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে এই উপাদান। অতিরিক্ত তেল, ত্বকে জমে থাকা ময়লা দূর করে ত্বকের স্বাভাবিক রং ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।
খানিকটা টমেটোর রস ও পাল্পের সঙ্গে সমপরিমাণে ওটস মিশিয়ে ত্বকের উপর লাগিয়ে ১০ মিনিট মালিশ করে ধুয়ে ফেলতে হবে। ওটস ত্বকের মৃতকোষ দূর করবে আর টমেটো ত্বক উজ্জ্বল করবে। তাছাড়া ত্বকের নমনীয়তাও বৃদ্ধিতেও সাহায্য করবে এই মিশ্রণ।
ফ্রুট মাস্ক
কলা, কমলা, অ্যাভাকাডো, পেঁপে, আপেল ইত্যাদি ফল একসঙ্গে মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে ঘাড়ে ব্যবহার করা যায়। ফলের এনজাইম এবং ভিটামিন ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে।
বেইকিং সোডা
ত্বক এক্সফলিয়েট করতে এবং রং হালকা করতে বেইকিং সোডা বেশ কার্যকর। আধা কাপ বেইকিং সোডায় দুই টেবিল-চামচ পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ঘাড়ে ১০ মিনিট হাত ঘুরিয়ে ম্যাসেজ করে লাগাতে হবে। এরপর আরও ১০ মিনিট অপেক্ষা করে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।