ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু ডটকম: ভূমধ্যসাগরে ইউরোপীয় শক্তি জোরদার করতে তুরস্কের সঙ্গে উত্তেজনা চলমান অবস্থায় ফ্রান্স থেকে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান কিনছে গ্রিস। তাছাড়া নিজের সামরিক শক্তি জানান দিতে গ্রিসের সঙ্গে নতুন করে এই প্রতিরক্ষা চুক্তি করলো ফ্রান্স। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে চুক্তি ভেস্তে যাবার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই গ্রিসের সঙ্গে নতুন করে প্রতিরক্ষা চুক্তি ফ্রান্সের।
চুক্তি অনুযায়ী গ্রিসকে ছয় থেকে আটটি যুদ্ধজাহাজ সরবরাহ করবে দেশটি। বিশ্লেষকদের মতে, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সাবমেরিন চুক্তি বাতিল হওয়ার কারণেই এমন পদক্ষেপ ফ্রান্সের।
অস্ট্রেলিয়াকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) গ্রিসের সঙ্গে নতুন নিরাপত্তা চুক্তি করলো ফ্রান্স। এদিন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কাইরিয়াকোস মিতসোকাতিসের সঙ্গে চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফ্রান্সের সঙ্গে পাঁচ বিলিয়ন ইউরোর প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছে তার দেশ।
কাইরিয়াকোস মিতসোকাতিস বলেন, ইউরোপীয় নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই আমাদের এই চুক্তি। নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা ফ্রান্সের সাথে একসাথে কাজ করবো। দু’দেশের চুক্তির পর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জানান, ভূমধ্যসাগরে ইউরোপীয় শক্তি জোরদার করতেই গ্রিসের সঙ্গে তাদের এই চুক্তি। এর মধ্য দিয়ে দু’দেশের সর্ম্পক আরো জোরালো হলো।
তিনি আরও বলেন, চুক্তিটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোর শক্তিকে আরো জোরালো করলো। যেকোনো ধরনের আক্রমণ একসাথে প্রতিহত করতেই এই চুক্তি।
চুক্তিটির আওতায় ফ্রান্স তাদের তৈরি ৮টি অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ সরবরাহ করবে গ্রিসকে। ২০২৬ সালের মধ্যে এসব যুদ্ধজাহাজ প্রবেশ করবে গ্রিসে। যার প্রথম চালান দেয়া হবে ২০২৪ সালে।
বিশ্লেষকদের মতে, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সাবমেরিন চুক্তি বাতিল হওয়ার জবাব দিতেই গ্রিসের সঙ্গে চুক্তি করলো ফ্রান্স। পূর্ব ভূমধ্যসাগর নিয়ে তুরস্ক ও গ্রিসের বিরোধ দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি সেখানে প্রাকৃতিক গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন নিয়ে দুই দেশের মধ্যে প্রবল উত্তেজনা দেখা দেয়। গ্রিসকে থামাতে তুরস্কও তেল অনুসন্ধানকারী জাহাজ পাঠায় পূর্ব ভূমধ্যসাগরে। এতে উত্তেজনা উঠে তুঙ্গে।
আরো পড়ুন:
তিউনিসিয়া পেল প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী