অপরাধ ও দূনীতি

গোপালগঞ্জে শিক্ষার্থী দলবদ্ধ ধর্ষণের নেতৃত্বে রাকিব : র‍্যাব

রাকিব মিয়া ওরফে ইমনের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কারওয়ানবাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, গোপালগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে রাকিব মিয়া ওরফে ইমন, পিয়াস ফকির, প্রদীপ বিশ্বাস, মো. নাহিদ রায়হান, মো. হেলাল এবং তূর্য মোহন্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।

খন্দকার আল মঈন বলেন, গোপালগঞ্জে রাকিব মিয়া ওরফে ইমনের নেতৃত্বে স্থানীয়ভাবে একটি অপরাধ চক্র গড়ে উঠেছে। এরা নারীঘটিত, মাদক বিক্রি-সেবন, জুয়াসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে লিপ্ত। এ ছাড়াও তারা চুরি ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধেও জড়িত। তারা সবাই গোপালগঞ্জ ও আশপাশের এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। বিভিন্ন সময়ে রাস্তাঘাটে স্কুল-কলেজের ছাত্রীদের উত্যক্ত করত তারা। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রয়েছে।

তিনি বলেন, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে এরা ইজিবাইক দিয়ে নবীনবাগ হেলিপ্যাড-সংলগ্ন এলাকায় যাওয়ার পথে শিক্ষার্থীকে তার বন্ধুসহ দেখে ইজিবাইক থামিয়ে তাদের নাম-পরিচয় জিজ্ঞাসা করে এবং বিভিন্ন অশালীন মন্তব্য করতে থাকে। তখন তাদের সঙ্গে ওই শিক্ষার্থী এবং তার বন্ধুর বাকবিতণ্ডা হয়। পরবর্তীতে তাদের জোরপূর্বক ঘটনাস্থলের পাশে ঢালু জায়গায় নিয়ে যেতে চাইলে বন্ধু বাধা দেওয়ায় গ্রেপ্তারকৃতরা তাকে মারধর করে। ওই শিক্ষার্থীকে স্থানীয় একটি ভবনে নিয়ে গিয়ে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে তারা।

র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, রাকিব স্থানীয় একটি মাদরাসা থেকে দাখিল ও আলিম সম্পন্ন করে। সে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে রিসেপশনিস্ট পদে চাকরি করত। ইতোপূর্বে তার বিরুদ্ধে মাদক ও মারামারির মামলা রয়েছে। পিয়াস ফকির গোপালঞ্জের একটি পাওয়ার হাউজে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করে। নাহিদ রায়হান স্থানীয় একটি কলেজে স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত। হেলাল স্থানীয় একটি কলেজে স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত। সে একটি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় ডিস্ট্রিবিউশন সেলস অফিসার হিসেবে চাকরি করত। তূর্য মোহন্ত খুলনার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ২০১৮ সালে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করে।

খন্দকার মঈন বলেন সম্প্রতি গোপালগঞ্জের স্থানীয় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও জড়িতদের শাস্তির দাবিতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দুইদিন ধরে বিক্ষোভ করছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে মশাল মিছিল করেছে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *