হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কণ্ঠশিল্পী আকবরের পায়ে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। গত বুধবার থেকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আকবর। তাঁর স্ত্রী কানিজ ফাতেমা প্রথম আলোকে জানান, আকবরের গোড়ালিতে পচন ধরায় সেখানে অস্ত্রোপচার করেছেন চিকিৎসকেরা, আরও দুই দিন তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখবেন তাঁরা। পরিস্থিতি অবনতি হলে হয়তো পা কেটে ফেলতে হবে।

এর মধ্যে কয়েকটি গণমাধ্যমে আকবরের পা কেটে ফেলা হয়েছে উল্লেখ করে খবর এসেছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তাঁর স্ত্রী ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সাংবাদিক ভাইয়েরা আমার সঙ্গে কথা না বলেই আমার নাম দিয়ে নিউজ করে দিয়েছেন, আকবরের পা কেটে ফেলে দিয়েছে। আমি সারা দিন ওকে নিয়ে ব্যস্ত থাকি। আমার মেয়ে মাঝেমধ্যে আপনাদের তো আপডেট দিচ্ছে। তাহলে আমাদের কাছ থেকে না জেনে কেন ভুল তথ‍্য ছড়াচ্ছেন? সকাল থেকে আমি ফোন রিসিভ করতে করতে নাজেহাল। আমি বলেছি পায়ে পচন ধরেছে। হয়তো পা কেটে ফেলতে হবে। কিন্তু ডাক্তাররা চেষ্টা করছে পা’টা যেন রাখা যায়। এখনো পা রেখেই প্রতিদিন সার্জারি হচ্ছে। তাই সবার কাছে অনুরোধ, সঠিক তথ‍্য প্রচার করবেন।’

প্রায় এক দশক ধরে ডায়াবেটিসে ভুগছেন আকবর। এর মধ্যে কিডনিরোগে আক্রান্ত হয়ে কয়েক দফায় দেশে ও দেশের বাইরে চিকিৎসা করিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর চিকিৎসার জন্য ২০ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন।
কিশোর কুমারের ‘একদিন পাখি উড়ে’ নতুন করে গেয়েছিলেন আকবর আলী গাজী। সবার কাছে তিনি আকবর নামে পরিচিত। হানিফ সংকেতের ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’তে এই গান তাঁকে আলোচনায় নিয়ে আসে। এরপর ‘তোমার হাতপাখার বাতাসে’ গানটি দেশ-বিদেশের দর্শক-শ্রোতার কাছে তাঁকে পরিচিত করে তোলে। গায়ক হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার আগে যশোরে রিকশা চালাতেন আকবর। খুলনার পাইকগাছায় জন্ম হলেও আকবরের বেড়ে ওঠা যশোরে। গান শেখা হয়নি। তবে আকবরের ভরাট কণ্ঠের কদর ছিল যশোর শহরে। সে কারণে স্টেজ শো হলে ডাক পেতেন তিনি।

২০০৩ সালে যশোর এম এম কলেজের একটি অনুষ্ঠানে গান গেয়েছিলেন আকবর। বাগেরহাটের এক ব্যক্তি আকবরের গান শুনে মুগ্ধ হন। তিনি জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’তে চিঠি লেখেন আকবরকে নিয়ে। এরপর ‘ইত্যাদি’ কর্তৃপক্ষ আকবরের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ওই বছর ‘ইত্যাদি’ অনুষ্ঠানে কিশোর কুমারের ‘একদিন পাখি উড়ে’ গানটি গেয়ে রাতারাতি পরিচিতি পেয়ে যান আকবর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *